কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে যা খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং অপকারিতা বিদ্ব্যমান। কমলা লেবু বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম ফল। আজকের পোস্টটিতে আমরা কমলা লেবু খাওয়ার সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং অপকারিতা আলোচনা করবো।
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু শীতকালীন ফল হওয়া সত্বেও সারা বছর পাওয়া যায়। কমলা লেবু খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর ফল। যা শীতকালে খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন, কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকা - কমলা লেবু

কমলা লেবুর বৈজ্ঞানিক নাম সাইট্রাস সাইনেনসিস। কমলালেবু সারা বিশ্বের অত্যন্ত জনপ্রিয় সাইট্রাস জাতীয় ফল। কমলা লেবু শুধুমাত্র প্রাণবন্ত রসালো স্বাদ, রং এবং গন্ধের জন্য বিখ্যাত নয় বরং এতে স্বাস্থ্য  প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি গুণে পরিপূর্ণ। কমলা লেবু খাওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে, এমনকি কমলা লেবুর সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য।

কমলা লেবুর পুষ্টি উপাদানের গঠন

কমলা লেবু সাধারণত বিভিন্ন পুষ্টির ভান্ডার যা দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কমলা লেবুতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকলেও অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পাওয়া যায়। একটি মাঝারি আকারের কমলা লেবুতে প্রায় ১৩১ গ্রাম বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। যেমন:
  • ক্যালোরি ৬২ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন সি ৭০ মিলিগ্রাম
  • ফাইবার ৩ গ্রাম
  • পটাশিয়াম ২৩৭ মিলিগ্রাম
  • ফোলেট ৪০ এমসিজি
  • প্রাকৃতিক চিনি ১২ গ্রাম

কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

কমলা লেবু সাইট্রাস জাতীয় ফল যা খেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কমলা লেবু আমাদের দেহের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায়। এমনকি মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কমলা লেবু। চলুন আমরা জেনে নেই, কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য।
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

কমলা লেবু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

কমলা লেবু খাওয়ার জন্য রক্তের চিনি এবং গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় রক্তের চিনির মাত্রার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কমলা লেবু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কমলা লেবুতে রাসায়নিকভাবে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় চিনি এবং ফ্রুকটোজ পাওয়া যায় যা রক্তের নিয়ন্ত্রণ করে।

দাঁতের মাড়ির যত্ন নিতে কমলা লেবু বেশ উপকারী। কমলা লেবু ও এমন সাইট্রাস জাতীয় ফল রক্ত বাহিকা এবং টিস্যুগুলো মজবুত করতে ভূমিকা রাখে এবং মারে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যদি নিয়মিত দৈনিক একটি কমলা লেবু খাওয়া যায় তাহলে দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে, দাঁতের ক্ষয় হওয়া প্রতিরোধ করে এবং মুখের অস্বস্তিকর দুর্গন্ধ দূর করতে ভূমিকা রাখে।

কমলা লেবু ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ একটি খাবার। যা খেলে শরীরের এবং জন্য খুবই উপকারী। কমলা লেবুর রস যদি মুখের তোকে ব্যবহার করা হয় তাহলে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। যদি নিয়মিত কমলা লেবুর ব্যবহার করা হয় তাহলে উজ্জল, ঝকঝকে পরিষ্কার ত্বক পাওয়া যায়। এমনকি মুখের ব্রণ, কালো দাগ, দূর করতে এবং রোম ছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য করে।

কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আমাদের শরীরকে ফ্রি রেডিকেল থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে শীতকালে প্রতিদিন কমলা লেবু খাওয়া উচিত। একটি কমলা লেবু থেকে আমাদের শরীরের ১১৬.২ ভাগ ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটানো যায়।

কমলা লেবুতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে যা খাওয়ার ফলে খাবার বিপাকে সাহায্য করে। এমনকি কমলা লেবু সাইট্রিক এসিডে পরিপূর্ণ যা দেহের অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে। শীতকালে আমাদের পানি পরিমান কম খাওয়ায় হজমে সৃষ্টি হয়। তবে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ কমলা লেবুর রস খাওয়া যায় তাহলে সহজে হজমের সমস্যা দূর হয়।

কমলা লেবু পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার, কোলিন এর জন্য অন্যতম খাবার। যা হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন সোডিয়াম এর পরিমাণ কম খাওয়া এবং পটাশিয়াম বেশি খাওয়া। কারণ পটাশিয়াম সোডিয়াম এর মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কমলা লেবুতে আছে পটাশিয়াম খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে।
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

কমলা লেবু খাওয়ার অপকারিতা

কমলা লেবু খাওয়ার যেমন উপকারিতা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিও রয়েছে। নিচে কমলা লেবু খাওয়ার অপকারিতা দেওয়া হল:

অতিরিক্ত কমলা লেবু খাওয়ার ফলে হার্ট বার্নের কারণ সৃষ্টি হতে পারে। কমলা লেবু টক জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে এতে এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে, যা দেহের এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট বর্ণের সমস্যা বেড়ে যায়।

প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কমলা লেবু খেলে এসিডিটিক প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে পেটের সমস্যা জালা পড়া সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি কমলালেবু বেশি খেলে দাঁত খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যে সকল ব্যক্তিগণ বিটা ব্লকার গুলো সেবন করেন তাদের জন্য অতিরিক্ত কমলা লেবু খাওয়া সঠিক নয়।


আর্থাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথায় যারা ভুগছেন তাদের কমলা লেবু পরিমাণে কম খাওয়া উচিত। কারণ কমলা লেবু ঠান্ডা হওয়ায়, এমন ব্যক্তিরা যদি বেশি কমলা লেবু খায় ব্যথা এবং ফোলা বৃদ্ধি হতে পারে।

কমলা লেবু ফাইবার এর প্রধান উৎস যার পরিমাণ অনেক বেশি। তবে যদি অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়া যায় তাহলে পেটের সমস্যা যেমন পেট ফাঁপা, বদহজম এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে। দৈনিক দুইটির বেশি কমলা লেবু খাওয়া উচিত নয়।

ছোট বাচ্চাদের কমলা লেবু বেশি খাওয়ানো উচিত নয়। যদি অতিরিক্ত কমলা লেবু খাওয়ানো হয় তাহলে পেটের ব্যথা এমনকি সিনকোপের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

যে সকল ব্যক্তির গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স এর সমস্যা রয়েছে, তারা যদি কমলা পেটের জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের কমলা লেবু বেশি খাওয়া উচিত নয়।

কমলা লেবু গর্ভবতী এবং দুগ্ধ দানকারী মহিলাদের জন্য বেশ উপকারী। হবে সীমিত পরিমাণে কমলালেবু হওয়া উচিত, তা না হলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

কিডনির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কমলা লেবু খাওয়া উচিত। কেননা তারা যদি কমলা লেবু খায় তাহলে কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা

  • ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে
  • কিডনি ভালো রাখে
  • চোখ ভালো রাখে
  • ত্বক ভালো রাখে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  • ওজন কমায়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • কোলেস্টেরল কমায়
  • বাতের ব্যথা ভালো করে
  • হার্ট ভালো রাখে
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে
  • বার্ধক্য দূর করে
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • রোগের ঝুঁকি কমায়
ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে: কমলা লেবুতে লিমোনিন পাওয়া যায়, যা এক ধরনের যৌগ উপাদান। কমলা লেবু স্তনের ক্যান্সার, ফুসফুস এর ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার এমনকি ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কমলা লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

যা গ্রহণে ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ফলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পরীক্ষায় দেখা গেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রায় 15% ডিএনএতে রূপান্তরিত ঘটায় যা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কমলা লেবু প্রতিরোধ করে।

চোখ ভালো রাখে: কমলা লেবু ১৩ টিনয়েড সমৃদ্ধ ফল। যা খাওয়ার ফলে চোখের শ্লেষা ঝিল্লির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। ভিটামিন এ এর অভাবে ভাস্কুলার প্যাথলজি এর জন্য ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যেতে পারে। কমলা লেবুর ভিটামিন এ চোখের আলো শোষণ করতে সাহায্য করে। কমলা লেবু ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার। খেলে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এটি চোখের রেটিনার কাছাকাছি মেকুলার ক্ষয় রোধ করে।
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
ত্বক ভালো রাখে: কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে আন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতির রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সুন্দর ত্বক উপহার দেয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কমলা লেবু খাওয়া খুবই উপকারী। কমলা লেবুতে থাকা সকল পুষ্টি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কমলা লেবু ইনসুলিন উৎপাদন করে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায় করে।

কিডনি ভালো রাখে: কমলা লেবু কিডনির জন্য খুবই উপকারী। কেননা কমলা লেবুতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ওজন কমায়: কমলা লেবুতে ভিটামিন সি এবং ফাইবার এর পরিমাণ কম থাকায় পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এগুলো পেটের মেদ বা চৌধুরী হতে দেয় না। ফলে সুন্দর ওজন রোদ করে এবং দেহের ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ভিটামিন সি যায় কমলা লেবুতে। যা খাওয়ার ফলে দেহেরু রোগ বৃদ্ধি করে। কমলালেবু খেলে সর্দি কাশি, ঘন ঘন কানের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

কোলেস্টেরল কমায়: কমলা লেবুতে দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায় যা পেকটিন নামে পরিচিত। এটি রক্তের মিশে যাওয়ার পূর্বেই শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল পূরণ করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে।

বাতের ব্যথা ভালো করে: কমলা লেবুর ভিটামিন সি এন্টি এক্সিডেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। যা খেলে জয়েন্ট এর ব্যথা ও প্রদাহ কমায়। এমনকি বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিনের জারন এবং ফিয়ানোট্রিয়েন্ট জেক্সটিং এর থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কমলা লেবু হাড় সম্পর্কিত রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখে: কমলা লেবুর ফ্লাভোনয়েড হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ঝুঁকি কমায়। কমলা লেবুর রক্তের কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর গবেষণায় বলা হয়েছে, সাইট্রাস জাতীয় ফল স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, বিশেষ করে কমলা লেবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: কমলালেবুতে ফ্লাভোনয়েড হেস্পেরিডিন পাওয়া যায় যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এমনকি কমলালেবুতে ম্যাগনেসিয়াম ও থাকে এটিও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে: সর্দি কাশি থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি খাবার অর্থাৎ কমলা লেবু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কমলা লেবু শীতের মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে খেলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সর্দি কাশি থেকে মুক্তি দেয়। এমনকি কমলালেবু খাওয়ার ফলে শারীরিক ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর গবেষণায় বলা হয়েছে সর্দি কাশিতে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বার্ধক্য দূর করে: কমলা লেবু বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল। যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে। ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে ত্বকের প্রয়োজনীয় কোষ গুলো ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। যা বার্ধক্য দূর করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: কমলা লেবু ডায়োটারি ফাইবার জাতীয় খাবার যা হজম বৃদ্ধি করে। এটি হজম হওয়ার রসকে উজ্জীবিত সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে।

রাতে কমলা খেলে কি হয়?

রাতে কমলা খেলে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা ব্যক্তিদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। উপরে আমরা জানতে পেরেছি, কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পকে। আমাদের মধ্যে অনেকে জানিনা রাতে কমলা খেলে কি হয়। আমি আপনাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো, রাতে কমলা খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

রাতে কমলা খাওয়ার উপকারিতা

কমলাতে প্রচুর ফাইবার থাকায় হজম করতে সাহায্য করে। যদি রাতের খাবার শেষে কমলা খাওয়া হয় তাহলে দ্রুত হজমে সাহায্য করে।

কমলা তে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। যদি রাতে কমলা অথবা ভিটামিন সি গ্রহণ করা যায় তাহলে দেহের ইমিউন সিস্টেম আরো শক্তিশালী করে তোলে।

কমলার মিষ্টি স্বাদ এবং টক রাতে খেলে মনের দিক দিয়ে প্রশান্তি পাওয়া যায়। ফলে তাদের দেহ ও মনকে সতেজ অনুভব করতে সাহায্য করে।

রাতে কমলা খাওয়ার অপকারিতা

কিছু মানুষের রাতে কমলা খাওয়ার ফলে অমলতা বা এসিডিটি বৃদ্ধি পেতে পারে ফলে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

রাতের খাবারের পরে যদি অতিরিক্ত সাইট্রাস জাতীয় খাবার বা ফল গ্রহণ করে তাহলে তাদের পেটের অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

রাতে সাইট্রাস জাতীয় ফল বা কমলা খাওয়ার ফলে পেটের জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি হয় যা ঘুমের ব্যথা করতে পারে।

কমলা খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয়?

কমলা মূলত গ্যাস্ট্রিকের জন্য ক্ষতিকর না। তবে কিছু কিছু মুহূর্তে কমলা খেলে গ্যাস্ট্রিক গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। কমলাতে সাইট্রিক এসে থাকার কারণে কিছু ব্যক্তি কমলা খেলে পেটে অস্বস্তি অথবা গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি হতে পারে। এটি হওয়ার মূল কারণ হলো সেসব লোকের পূর্ব থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। যদি আপনার পেটের অম্বল থেকে থাকে তাহলে কমলা অতিরিক্ত খাওয়া উচিত হবে না। তবে সাধারণত কোন সুস্থ মানুষ কমলা খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না।

উপসংহার - কমলা লেবু

আজকের পোষ্টের মূল আলোচলার বিষয় কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। উক্ত ‍বিষয়ে আরো কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট মানিমেকার আইটে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url