বিটরুট পাউডার এর দাম কত জেনে নিন বিস্তারিত
বিটরুট পাউডার এর দাম কত? জানা নেই। চলুন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো, বিটরুট পাউডারের দাম কত টাকা। বিটরুট পাউডার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিটরুট পাউডার ক্রয় করার পূর্বে আপনাদের অবশ্যই এর দাম কত ধারনা নেওয়া উচিত।
বিটরুট পাউডার এর রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা যা গ্রহণ করলে সঠিক এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং বিটরুটের বিটরুট পাউডার এর স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে আমাদের অবশ্যই বিটরুট পাউডার খাওয়া উচিত। চলুন জেনে নেই, বিটরুট পাউডার এর দাম কত টাকা বাংলাদেশে।
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো বিটরুট পাউডার এর দাম কত টাকা এবং বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য।
ভূমিকা - বিটরুট পাউডার
বিটরুট সুপার ফুড জাতীয় খাবার যার স্বাস্থ্য উপকারিতা সর্বাধিক বাজারে আমরা সবজি কিনার সময় বিটরুট দেখতে পায়। কিন্তু বিটরুট না কিনে তা এড়িয়ে চলি। তবে যদি বিটরুট এর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানতে পারেন তাহলে কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। বাজারে বিটরুট সবজি এবং এর পাউডার পাওয়া যায়।
কিন্তু বিটরুট অথবা বিটরুটের পাউডার কিনতে হলে এর দাম কত অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানো হবে, বিটরুট পাউডার এর দাম কত?, বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা এবং বিটরুটের সকল তথ্য।
বিটরুট পাউডার কি?
বিটরুট পাউডার হচ্ছে শুকনো বিটরুট এর গুড়া যা পাউডার নামে পরিচিত। বিটরুট পাউডারের রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি গুণ। বিটরুট পাউডার মূলত বিটরুটের রক্ত লাল শিকড় থেকে তৈরি হয়ে থাকে।
বিটরুটের পাউডার এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, এন্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ভিটামিন সি, ফোলেট ইত্যাদি পাওয়া যায়। বিটরুট এর পাউডার জুস, সালাদ, সুপ, মিষ্টি জাতীয় খাবার, স্মুদি ইত্যাদি খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
বিটরুট পাউডার এর দাম কত?
বিটরুট পাউডার এর দাম মূলত বিটরুট এর কোয়ালিটি ও কোম্পানির উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন দামের হয়ে থাকে।
২০০ গ্রামের একটি বিটরুট পাউডারের জারের দাম প্রায় 500 টাকা।
৫০ গ্রাম বিটরুট পাউডার এর দাম 180 টাকা প্রায়।
১০০ গ্রাম বিটরুট পাউডারের দাম প্রায় প্রায় 330 থেকে 350 টাকা।
১৫০ গ্রাম বিটরুট পাউডার এর বাজার মূল্য 430-460 টাকা।
২০০ গ্রাম বিটরুট পাউডার এর দর 600-700 টাকা।
৪০০ গ্রাম বিটরুট পাউডারের দাম 1100 টাকা।
৫০০ গ্রাম বিটরুট পাউডার এর দাম 1250 টাকা। অফার মূল্য 1000 টাকা।
৬০০ গ্রামের দাম 600-700 টাকা।
১ কেজি বিটরুট পাউডার এর মূল্য 2400 টাকা, অফারে এর দাম 1850-2200 টাকা।
বিটরুট এর দাম কত?
আমারা অনেকেই জানে না বিটরুট এর দাম কত? বিটরুট এর দাম মূলত কোম্পানির, স্থান, বিক্রেতা, পণ্যের গুণগত মান এমনকি পণ্যের প্রকৃত ওজনের ওপর নির্ভর করে। প্রতি কেজি বিটরুট এর দাম প্রায় ৬০০ টাকা।
বিটরুট পাউডার এর ওজনের ওপর নির্ভর করে সর্বনিম্ন 180 টাকা থেকে 2400 টাকা দামে বিক্রি করা হয়। বিটরুট এর প্রতি কেজি পাউডারের মূল্য প্রায় 2400 টাকা।
বিটরুট পাউডারের পুষ্টির উপাদানসমূহ
বিটরুটের পাউডারে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার নিচে দেওয়া হল:
আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, আয়োডিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন কে, কপার ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা উপরে জানতে পেরেছি বিটরুট পাউডার এর দাম কত টাকা সে সম্পর্কে। বিটরুট পাউডার এর স্বাস্থ্য উপকারিতা ব্যাপক। তবে কিছু ব্যক্তি ভেদে অপকারিতাও পাওয়া যায়। বিটরুট পাউডার খাওয়ার পূর্বে এর সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখা ভালো। নিম্নে বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা ও অপকারিতা দেওয়া হল।
আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান বাসমতি চালের দাম - ২০২৪
বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা
বিটরুট পাউডারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেশি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
বিটরুট পাউডারে আছে নাইট্রেটস, যা রক্তের শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালী প্রসারিত করে।
বিটরুট খেলে দেহের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন অপসরণে ভূমিকা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বিটরুট পাউডারের টালাইন নামের যৌগ পদার্থ পাওয়া যায়। যা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি প্রদাহ সৃষ্টি করে এমন রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বিটরুটের পাউডার।
বিটরুটের পাউডার এর প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে থাকা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। এমনকি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেই।
বিটরুটের পাউডারের পটাশিয়াম পাওয়া যায় আর খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিটরুটের নাইট্রেট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন সকালে অথবা বিকালে নাস্তার সাথে বিটরুটের জুস খান।
বিটরুটের লুটেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা গ্রহণে চোখের বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিটরুটের পাউডার এ ফাইটোকেমিক্যাল নামের পদার্থ পাওয়া যায়। এটি চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং চোখের চারপাশের স্নায়ুর টিস্যু গুলোকে শক্তিশালী করে তুলে।
এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় যা গ্রহণের রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে এবং রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়।
বিটরুট উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং পেটের সমস্যা সমাধান করে।
বিটরুট খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং মসৃন করবে। এমকি চেহারার বয়সের ছাপ দূর করে।
বিটরুটের তাহলে বিটাইন নাম পদার্থ থাকে যা যকৃতে চর্বি জমতে বাধার সৃষ্টি করে।
নিয়মিত পরিমাণ অনুযায়ী বিটরুটের পাউডার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
গর্ভকালীন সময়ে যদি নিয়মিত বিটরুটের জুস খাওয়া যায় তাহলে গর্ভের শিশুর গর্ভস্থ সময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে।
বিটরুটে লো ফ্যাটের পরিমান কম থাকায় বিটরুট খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। ওজন স্বাভাবিক থাকে।
বিটরুটের উপকারিতা
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- দ্রুত শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
- দেহের প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া কমায়।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা দ্রুত বৃদ্ধি করে।
- ক্যান্সারের মত মরণব্যাধি রোগের ঝুঁকি কমায়।
- কিডনিতে ও পিত্তথলিতে পাথরের জমা প্রতিরোধ করে।
- ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- লিভারের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
- চোখের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিটরুট।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বিটরুট এর পাউডার খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট পাউডার এর দাম কত? ইতিপূর্বে আমরা জানতে পেরেছি। দৈনিক যদি এক চা চামচ বিটরুট পাউডারের গুড়া খাওয়া যায় তাহলে তিন থেকে ১৬ শতাংশ পুষ্টির উপাদান পূর্ণ হয়। বিট রুটের পাউডারের সালাদ, এমনকি স্মুদি যেমন কলা, ভিটামিন সি জাতীয় ফলের সাথে, আঙ্গুর ইত্যাদি খাবারের সাথে যুক্ত করে স্মুদি হিসেবে খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ব্রেকিং জাতীয় খাবার যেমন বিস্কিট, কেক, মাফিন ইত্যাদি খাবার তৈরিতে বিট রুটের পাউডার ব্যবহার করে খেতে পারেন। পাস্তা, সুপ, নুডুলস, পিনাট এনার্জি সমৃদ্ধ খাবারের সাথে যুক্ত করে বিট রুটের পাউডারের সাথে খাওয়া যায়। এছাড়াও চা, কফি ও গরম চকলেটের সাথে মিশিয়ে খেতে খুব মজাদার এবং টেস্টি লাগে।
ত্বকের যত্নে বিটরুট এর পাউডার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে বেটানেল পাওয়া যায় যার মাক্স বাট টোনার ব্যবহার করলে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলে। এমনকি ত্বকের গঠন উন্নত করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বিদ্যার জন্য হাফ চা চামচ পরিমাণ বিটরুট পাউডার, টক দই ও মধু একত্রে মিশিয়ে ফেলে মাক্স তৈরি করে ত্বকে লাগান। প্রায় বিশ মিনিট পরে কুসুম গরম পানিতে তোকে ব্যবহার করা বিটরুট পাউডারের মাক্স ধুয়ে ফেলুন।
বিটরুট পাউডার এর টোনার তৈরি করতে এক চা চামচ পরিমাণ বিটরুটের গুঁড়া ২০০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
মুখের ব্রণ দূর করতে বিটরুট পাউডার: বিটরুট পাউডারের সাথে দুই কোয়া রসুনের রস এবং টক দই একত্রে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে প্রায় দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পড়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই যৌগ উপাদানটি মুখের ব্রণ নিরাময়ে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কালো দাগ দূর করে: বিটরুট পাউডার, নারকেল তেল, সাথে তোদের গুড়া একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চোখের নিচের এবং ঠোটের কালো দাগ আছে এমন স্থানে প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করুন এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
ত্বকের বাধ্যক্য হার কমায়: বিটরুট পাউডারের অধিক মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বকের রেডি ক্যালস লড়াই করে। এটি ব্যবহারে ত্বকের বয়সের ছাপ বা বুরিয়ে যাওয়া দূর করে।
ত্বকের বার্ধক্যের হার কমাতে হাফ চা চামচ পরিমাণ বিটরুট পাউডার সাথে টমাটির রস মিশিয়ে তোকে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
উপসংহার - বিটরুট পাউডার
আজকের পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয় বিটরুট পাউডার এর দাম কত? এছাড়াও আপনাদের তোর মাধ্যমে জানানো হয়েছে, বিটরুট পাউডার সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি, আপনারা উক্ত বিটরুট পাউডার এর বর্তমান বাজারে দাম কত তা জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। উক্ত বিষয়ে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url