ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ধনিয়া বীজ খাওয়ার পূর্বে জেনে নিন, ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। ধনিয়া বীজের ভেজানো জল খাওয়ার রয়েছে অতুলনীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা। ধনিয়া বীজ দেহের বিভিন্ন রোগের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। আমি আপনাদের জানাবো, ধনিয়া বীজ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ধনিয়া বীজ একটি মসলা জাতীয় খাবার যা বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। ধনিয়া বীজ অত্যন্ত স্বাদে ও ঘ্রাণে ভরপুর। তরকারি সুস্বাদু ও শারীরিক পরিস্থিতি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের পোস্টে আমরা জানতে পারবো, ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্টের সূচিপত্র - ধনিয়া বীজঃপ্রিয় বন্ধুরা, আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সকল তথ্য।
ভূমিকা - ধনিয়া বীজ
ধনিয়া বীজ ও এর পাতা এমন একটি মসলা জাতীয় খাবার যেকোনো খাবারে যদি পরিমাণ মতো ছিটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে খাবারের স্বাদ ও সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে ধনিয়া বীজের থেকে পাওয়া ধনিয়া পাতা খুব বেশি পরিমাণে বাজারে পাওয়া যায়।
ধনিয়া বীজ ও পাতার অতুলনীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এমনকি ধনিয়া বীজের কিছু অপকারিতা আছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আজকের এই পোস্টে, ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা, ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ধনিয়া বীজের পুষ্টি উপাদান ও গুনাগুন
ধনিয়া বীজের আয়ুর্বেদিক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা বিভিন্ন গবেষণায় এর পুষ্টিগুণ সর্বাধিক। ধনিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায়। নিচে ধনিয়া বীজের পুষ্টি উপাদান ও গুণাগুণ উল্লেখ করা হলো:
- পলিফেনালস,
- ফ্ল্যাভোনয়েডস,
- আইরন,
- বিভিন্ন খনিজ পদার্থ,
- ফাইবার, ক্যালসিয়াম,
- বি-ক্যারোটিনয়েডস, ম্যাগনেসিয়াম
- ভিটামিন এ,
- ভিটামিন সি,
- ভিটামিন কে,
- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি,
- এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ইত্যাদি পাওয়া যায়।
ধনিয়া বীজ এর গুনাগুন যা উপেক্ষা করার মতো নয়। ধনিয়া বীজ এর গুঁড়ো খাবারের সুস্বাদু বৃদ্ধিতে এমনকি দেহের রোগ বালাই থেকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ গুনাগুন রয়েছে।
ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক দের মতে, ধনিয়া বীজ খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ধনিয়া বীজ স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি দেহের ছোট ও বড় রোগের নিরাময় করতে খুবই উপকারী। এমনকি উপকারিতার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্য কিছু স্বাস্থ্য অপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা
- দ্রুত হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলী রয়েছে
- হৃদরোগের প্রতিরোধ করে
- দ্রুত চুলের বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়ক
- শরীরের ব্যথা প্রদাহ কমায়
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা বা পিপাসা মিটায় এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
- ত্বকের রোগ দূর করে
- শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে
- কনজাংটিভাইটিস এর প্রকোপ কমায়
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
- মূর্খের দুর্গন্ধ দূর করতে সহযোগী
- পিরিয়ডের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করে
- সর্দি ও কাশি কমায়
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
- কিডনি সুস্থ রাখে
- অতিরিক্ত মাথা ব্যথা কমায়
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- মাসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
- পরিষ্কার রাখে এবং অন্তরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
- ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে
- শরীরের জ্বর কমায়।
ধনিয়া বীজ খাওয়ার ৩০টি উপকারিতা
দ্রুত হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: ধনিয়া বীজ হজমের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য অম্বল ও পেটের গ্যাস দূর করে।
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ধনিয়া বীজ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে। ধনিয়া বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: ধনিয়া বীজ রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে পাকা আম খেলে কি হয়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলী রয়েছে: ধনিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা দেহের ক্ষতিকর রেডিকেলস দূর করতে এবং শরীরের সেলগুলো সুরক্ষিত রাখতে ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগের প্রতিরোধ করে: ধনিয়া বীজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়ক: ধনিয়া বীজ দেহের রক্তের সঞ্চালন প্রক্রিয়া এবং এর কার্যকারিতা
উন্নত করে। ফলে দেহের সকল অঙ্গ পতঙ্গ গুলোতে ভালোভাবে রক্তের সঞ্চালন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।
শরীরের ব্যথা-প্রদাহ কমায়: ধনিয়া বীজে আছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি যা দেহের বিষ, ব্যথা ও প্রদাহ কমায়।
ত্বকের বিভিন্ন রোগ দূর করে: ধনিয়া বীজ এক মুঠ পরিমান ভালোভাবে ধুয়ে পিষে পেস্ট তৈরি করে যদি চুলকানি, দাউদ, একজিনা প্রদাহ সম্ভবত সমস্যা, ও ফুসকুড়িতে লাগানো যায় তাহলে দারুন উপকারিতা পাওয়া যায়। এছাড়াও ত্বক সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধনিয়া বীজ।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে: ধনিয়া বীজ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ত্বকের গ্লো ফিরিয়ে আনতে, ব্রণের সমস্যা দূর করতে খুবই উপকারী।
চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি করে: দৈনন্দিন জীবনে দৈনিক খাবারে যদি ধনিয়া বীজ খেতে পারেন তাহলে চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি চুলকে গোড়া থেকে শক্ত মজবুত করে। এমন কি চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে।
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে: ধনিয়া বীজ দ্রুত সরলের শক্তি বৃদ্ধি ও ক্লান্তির দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পিরিয়ডের সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করে: পিরিয়ডের সময় অস্বাভাবিক রক্তকরন হয় যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এছাড়াও পিরিয়ডের ব্যথা ও যন্ত্রণা বেশি থাকে। পিরিয়ড সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ধনিয়া বীজ এই মসলা জাতীয় খাবারটি যুক্ত করুন
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে: ধনিয়া বীজ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, ও মানসিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মূখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহযোগী: ধনিয়া বীজে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এর গুনাগুন থাকায় মুখের অস্বস্তিকর দুর্গন্ধ দূর করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে: ধনিয়া বীজ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। যা হেদ রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পিপাসা ও তৃষ্ণা মেটায়: ধনিয়া বীজ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং দেহের পিপাসা ও তৃষ্ণা মেটায়।
কিডনি সুস্থ রাখে: ধনিয়া বীজ কিডনির বিভিন্ন সমস্যা ও রোগের কি কমাতে এবং এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত মাথা ব্যথা কমায়: ধনিয়া বীজ মাথাব্যথার চিকিৎসায় অত্যন্ত উপকারী মসলা জাতীয় খাবার।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে: ধনিয়া বীজ মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ধনিয়া বীজ পেটের সমস্যা দূর করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ, এমনকি পেট পরিষ্কার রাখতে ভূমিকা রাখে।
মাসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়: ধনিয়া বীজ এর এমন কিছু উপাদান আছে যা মস্তিষ্কের সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন যেমন সেরোটোনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। সেরোটোনিন উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমায়।
ধনিয়া বীজ পিত্তাশয় পরিষ্কার রাখে এবং অন্তরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
কনজাংটিভাইটিস এর প্রকোপ কমায়: ধনিয়া ডিজে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, আন্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কনজাংটিভাইটিস এর প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে এমন কে চোখের নানা রকম সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে: ধনিয়া বীজ শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে এবং শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।
শরীরের জ্বর কমায়: ধনিয়া বীজে এন্টি ফেব্রাইল গুণাগুণ থাকায় শরীরের জ্বর কমায় এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ধনিয়া বীজ সর্দি ও কাশি কমায়: ধনিয়া বীজের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড এই উপাদান গুলো শরিরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। ফলে সর্দি, কাশি, ও ঠান্ডা কমাতে সাহায্য করে।
ধনিয়া বীজ ভেজানো জলের উপকারিতা
ধনিয়া বীজ যদি জলে ভিজিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এর উপকারিতা অনেক বেশি পাওয়া যায়। ধনিয়া বীজ ভেজানো জল খেলে পেটের ব্যথা, হৃদরোগ, ক্যান্সার, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ও বদহজম থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
যদি ধনিয়া বীজ ভেজানোর জল খেলে শক্ত ও মজবুত এবং মেরামত করে। এর ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এমনকি অস্টিওপোরোসিস রোগ প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও ধনিয়া বীজ ভেজানো জল খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে আছে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ কমায়, সোডিয়াম করে, কোলেস্ট্রল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফ্রি রেডিকেল কমায় যেমন এক ধরনের ক্ষতিকর অক্সিজেন কেন যা শরীরের জন্য বিপদজনক।
শরীরের অনুপ্রবেশ করা ক্ষতিকর সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে ধনিয়া বীজ ভেজানো জল। হজম শক্তি এবং হজমের সমস্যা সমাধান করে।
ধনিয়া বীজ ভেজানো জল দেহের বিষ ব্যথা ও প্রদাহ কমায় এমনকি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রক। ধনিয়া বীজ ভেজানো জল চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে, ইমিউন সিস্টেম বাজিয়ে দেয়। এছাড়াও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ধনিয়া বীজ খাওয়ার অপকারিতা
ধনিয়া বীজ একটি জনপ্রিয় মসলা যা প্রায় সকল ধরনের খাবারের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ধনিয়া বীজের অসাধারণ উপকারিতা এবং অব্যর্থ আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তবে কিছু অসাবধানতার ও ভুল বসত ধনিয়া বীজ ফেলে অপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। ধনিয়া বীজ খাওয়ার অপকারিতা হলো:
কিছু কিছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ধনীয়া বীজের এলার্জি হতে পারে। ধনিয়া বীজ অতিরিক্ত ও নিয়মিত খাওয়ার কারণে এলার্জির সম্ভাবনা বেশি।
ধনিয়া বীজ যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে পেটের অস্বস্তি, বদহজম এমনকি গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সাধারণত ধনিয়া বীজ প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমায়। তবে যদি ধনিয়া বীজ অতিরিক্ত খাওয়া যায় তাহলে রক্তচাপ খুব বেশি কমে যেতে পারে যার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত ধনে বীজ খাওয়া উচিত নয়। যদি অতিরিক্ত ধনে বীজ সে থাকে তাহলে অনেক সময় গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়।
ধনিয়া বীজ রক্তের শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস সুস্থ রাখে। তবে যদি মাত্রা অতিরিক্ত খাওয়া যায় তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মান অনেক কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়।
যেসব রোগের জন্য ধনিয়া বীজ খাওয়া উচিত
ধনিয়া বীজ একটি মসলা জাতীয় খাবার। এছাড়াও এর আয়ুর্বেদিক ওষুধের গুণাগুণ রয়েছে যা বিভিন্ন রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে খুবই কার্যকরী। যেসব রোগের জন্য ধনিয়া বীজ আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে তা হল:
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিদ দের মতে, ধনিয়া বীজ মাথা ব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যা, এসিডিটি, পিরিয়ড বা মাসিক এর সমস্যা, মাসিকের সময় অস্বাভাবিক রক্তপাত, পিরিয়ডে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব, স্থূলতা, বদহজম, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, থাইরয়েড ইত্যাদি রোগের নিরাময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এমনকি ধনিয়া বীজ, মসলা জাতীয় এই খাবারটি ও আয়ুর্বেদিক এই ঔষধ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ। বিশেষ করে মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ধনিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি
যেহেতু ধনিয়া বীজ একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ, সেহেতু ধনিয়া বিচ খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি রয়েছে। নিচে ধনিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি দেওয়া হল:
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস, হজমের সমস্যা ও ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত রোগের জন্য সিসিএফ চা এর সাথে ধনিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে হয়।
থাইরয়েড রোগীদের জন্য ধনিয়া বীজ প্রতি এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ পরিমাণ ধনিয়া বীজের গুঁড়া রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উক্ত ভেজানো পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।
ফুটানো হয়ে গেলে ভালোভাবে ছেঁকে নিন। থাইরয়েড এর জন্য ধনিয়া বীজের উপকারিতা দ্বিগুণ করতে কারি পাতা ও গোলাপের শুকনো পাপড়ি যুক্ত করা যেতে পারে। থাইরয়েড এর ঔষধ খাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর উক্ত ধনিয়া বীজের গুড়া মিশ্রিত পানি পান করুন।
এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার ধনিয়া বীজের গুঁড়ো প্রায় ২৫ গ্রাম নিন। ১৫০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে। রাতে ঘুমানোর পূর্বে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে উক্ত ভেজানো পানে ভালোভাবে ছেঁকে নিন। প্রয়োজনীয় পরিমাণে রোগ সুগার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে সেবন করুন।
উপসংহার - ধনিয়া বীজ
আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ধনিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। এছাড়াও আরো এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানো হয়েছে সম্পর্কিত সকল বিষয়।আশা করি, আপনারা উক্ত ধনিয়া বীজ খাওয়ার সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। উপরে উল্লেখিত ধনিয়া বীজ সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের সর্বাধিক মূল্যায়ন করার চেষ্টা করব।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url