হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও সকল উপকারিতা

হাতিশুর গাছের শিকড় খাবেন কিন্তু জানেন না খাওয়ার সঠিক নিয়ম। হাতিশুর গাছ হচ্ছে বন্য ঔষধি একটি গাছ। যা রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমি আপনাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো, হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও হাতিশুর গাছের শিকড়ের যত উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
হাতিশুর গাছ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। যদিও হাতিশুর গাছের পাতা এবং শিকড়ের অগণিত উপকারিতা আছে। এই গাছটির শিকড় খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি আমাদের জানা প্রয়োজন হাতিশুর গাছ সম্পর্কে।

তাহলে চলুন আমরা জেনে নেয়, হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম, শিকড়ের যত উপকারিতা, ঔষধি গুনাগুন, এবং হাতিশুর গাছ সম্পর্কে সকল তথ্য।

পোষ্ট সূচিপত্র-হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সকল উপকারিতাঃপ্রিয় বন্ধুরা, আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও হাতিশুর গাছের শিকড়ের যত গুনাগুন এবং উপকারিতা আছে সে সম্পর্কে সকল তথ্য।

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার জন্য নিয়ম জানা জরুরী। এই গাছের শিকড় যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায় তাহলে উপকারিতা সর্বাধিক পাওয়া যায়। সুতরাং হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে খাওয়ার নিয়ম। আমি আপনাদের হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম জানানোর জন্য বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই পোস্টে। তাহলে চলুন জেনে আসি হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম সমূহ।
  • হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার পূর্বে নির্বাচন করুন হাতিশুর এর গাছ।
  • নির্বাচন করা গাছটি যেন প্রাপ্তবয়স্ক হয় অর্থাৎ যে গাছগুলোতে ফুলের সংখ্যা বেশি এবং গাছের রং হলুদ রঙের।
  • ছোট গাছ অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্ক নির্বাচন করা উচিত নয়। কেননা এই গাছের উপকারিতা নাই বললেই চলে।
  • হাতিশুর গাছের শিকড় সংগ্রহ করুন। একটি প্রাপ্তবয়স্ক গাছ হতে প্রায় তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
  • গাছের শিকড় সংগ্রহ করার পর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করেত কালোজিরা, মধু, পান পাতা সংগ্রহ করুন।
  • হাতিশুর গাছের শিকড়, কালোজিরা, মধু, পান পাতা উপাদানগুলো একত্রে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন যাতে বিন্দু পরিমাণ ময়লা না থাকে।
  • শিকড় গুলো ১ ইঞ্চি সমপরিমাণ করে কেটে নিন। লক্ষ রাখুন যাতে শিকড় ১ ইঞ্চির ছোট বা বড় না হয়।
  • পান বানানোর সময় যেভাবে পানে স্টেপ বাই স্টেপ মসলা দেওয়া হয় সেইভাবে প্রথমে ১ ইঞ্চির হাতিশুর গাছের শিকড় একটি টুকরা পানির উপর দিন।
  • তারপর এক চা চামচ পরিমাণ খাঁটি মধু এবং এক চিমটি কালোজিরা পানের ওপর দিয়ে উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এরপর ভালোভাবে মুড়িয়ে পানের ক্ষিলি তৈরি করুন।
  • এখন খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হাতিশুর গাছের শিকড়।
  • হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং উপকারিতা সর্বাধিক পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার প্রায় ১ ঘন্টা পূর্বে খান।
  • ভালো ফলাফল পেতে টানা ৭ দিন খেতে হবে।
হাতিশুর গাছের শিকড় শিকড় খাওয়ার আরো নিয়ম হচ্ছে:

শরিরের কোনো অংশ আঘাতে ফুলে গেলে, তা সারিয়ে তুলতে হাতিশুর গাছের শিকড় খান। শিকড় খাওয়ার নিয়ম পরিস্কার শিকড় নিয়ে থেথলিয়ে রস করুন। অল্প পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করা পানি কুসুম গরমে ৩-৪ দিন পান করুন।

হাতিশুর গাছের শিকড় পানিতে ফুটিয়ে পরিমান মত  খান। এতে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি-কাশি ভালো করবে। ৫-৬ দিন খেতে হবে। এছাড়াও আঘাত জনিত স্থানে হাতিশুর গাছের শিকড় পিসে লাগালে এবং এর সিদ্ধ করা পানি খেলে ব্যাথা কমে।

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে হাতিশুর গাছের শিকড় অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া থেকে এগিয়ে চলুন। শুরুতে অল্প অল্প পরিমাণে গাছটির খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আশা করি, আমরা আপনাদের হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানাতে পেরেছি। তবে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সকল নিয়ম সমূহ মেনে খাওয়ার পরেও সতর্ক থাকা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম

বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি, হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তবে বিষয়টি জানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা জানা আবশ্যক। আদি যুগ থেকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে হাতিশুর গাছের শিকড় ব্যবহার করা হতো। সুতরাং হাতিশুর গাছের শিকড় এর উপকারিতা সর্বাধিক। চলুন জেনে নেওয়া যাক হাতিশুর গাছের শিকড়ের যত উপকারিতা সম্পর্কে।

দেহের কোন অংশে ঘা হয়েছে এমন স্থানে যদি হাতিশুর গাছের শিকড় ভালোভাবে পিসে লাগানো হয় তাহলে ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তুলে।

দাউদ, পচড়া, ও অন্যান্য চর্মরোগ ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি ভালো না হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানে হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস লাগালে ভালো ফলাফল মিলে।

দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা কি করবেন বুঝতে পারছেন না। যদি এমন হয় হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস পান করুন এবং রস দিয়ে কুলকুছা করলে দাঁতের ব্যথা ভাল হয়।

হাতিশুর গাছের পাতার রস যদি বিষাক্ত পোকামাকড় কান দিয়েছে এমন স্থানে লাগানো যায় তাহলে দ্রুত বিষ কমে যায়।

ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে দেহের কোন স্থানে ক্ষত হলে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। এমন সময় হাতিশুর গাছের শিকড় পিষে লাগালে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে।

শরীরের কোন অংশ হঠাৎ ফুলে গেলে উক্ত স্থানে হাতিশুর গাছের পাতা বেটে গরম করে লাগালে ভালো হয় এবং ফলা কমে।

জ্বর সর্দি কাশি রোগের জন্য উপশম্ হিসেবে কাজ করে হাতিশুর গাছের পাতা ও শিকড় এর রস।

ব্রণ এবং ব্রণ এর কালো দাগ দূর করতে হাতিশুর গাছের পাতা এবং কচি ডগা ভালোভাবে পিষে গোসলের যাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পূর্বে ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগে লাগানো হলে ব্রণ ভালো হয় এবং ব্রণের কালো দাগ উঠে যায়।

হাতিশুর গাছের পাতা ও শিকড় পিছে একজিমা লাগালে একজিমা ভালো হয়।

ফ্যারিনজাইটিস রোগ থেকে মুক্তি পেতে গাছের পাতার রস দিয়ে গড়গড়া করুন।

হাতিশুর গাছের শিকড় এবং পাতার রস এর সাথে রেডি তেল মিশিয়ে রিউমেটিক বাত এর স্থানে লাগালে বাত ব্যথা কমে।

টাইফয়েড জ্বর থেকে সমাধান পেতে হাতিশুর গাছের শিকড় ও পাতার রস কুসুম গরম করে খেতে হবে।

হাতিশুর গাছের পাতা থেতলিয়ে কাটা অথবা চামড়া উঠে যাওয়া স্থানে লাগালে দ্রুত সেরে যায়।

হাতিশুর গাছের শিকড়ের ও পাতার রস করে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

হাতিশুর গাছের পাতার রস চুলকে গোড়া থেকে শক্ত ও মজবুত করতে আর্য করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে।
হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস দেহের বিভিন্ন ছত্রাক যেমন লাল বর্ণ ফুসকুড়ি দূর করে।এর শিকড়ের রস করে যদি আক্রান্ত স্থানে লাগানো হয় তাহলে দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

আমরা জানলাম হাতিশুর গাছের শিকড়ের কার্যকরী উপকারিতা সমূহ। ইতিপূর্বে আমরা আরো জানতে পেরেছি হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম। এছাড়াও শিকড়ের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তা নিচে দেওয়া হল:
  • হাতিশুর গাছের শিকড় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ, যা দেহের জন্য উপকারী।
  • হাতিশুর গাছের শিকড়ের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে পেটের সমস্যা, জ্বর, এবং বিষ ব্যথায় এরকম সাধারন সমস্যায় এটি বেশ উপকারী।
  • হাতিশুর গাছের শিকড় মাটি ক্ষয় রোধ করে যা পরিবেশ এর ভারসাম্য টিকিয়ে রাখে।
  • এছাড়াও হাতিশুর গাছের শিকড় প্রাকৃতিকভাবে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন গুলো বাহির করতে ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় গবেষকদের মতে, হাতিশুরের শিকড় হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।

হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা

হাতিশুর গাছের মূল বা শিকড় খাওয়ার অবিশ্বাস্য কিছু উপকারিতা আছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন ফটাফট জেনে নেই হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা কি কি।

হাতিশুর গাছের মূল বা শিকড় দেহের পচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। যা খাওয়ার ফলে পচন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজমে সাহায্য করে। এর মূলের উপকারিতা যৌন রোগের জন্য সর্বাধিক কার্যকর। যৌন রোগের কার্যকারিতা সর্বাধিক করতে সকালে খালি পেটে পান পাতা এবং হাতে সুর গাছের মূল চিবিয়ে রস খান।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
শরীরের কোন অংশের ফোড়ার বিষ ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে হাতিশুর গাছের মূল বা শিকড় ও পাতা বেটে প্রলেপ দিলে দ্রুত সেরে যায়। হাতিশুর গাছের মূল প্রাকৃতিকভাবে এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে শরীরের ক্ষতিকর সংক্রমণের জন্য। এছাড়াও হাতিশুর গাছের মুল খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।

হাতিশুঁড় গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়

হাতিশুঁড় গাছের শিকড় সাধারণত কোমরে বাধলে বিভিন্ন সমস্যা বা প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। যার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার কারণ। অনেক সময় দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট কোন গাছের শিকড় অথবা প্রাকৃতিক উপাদান যার দেহের উপর করে থাকে। যা ব্যবহারে ব্যথা, অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এমনকি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।

তবে, কিছু কিছু সংস্কৃতিতে গাছের শিকড় অথবা হাতিশুঁড় গাছের শিকড় কোমরে বাঁধা যা ভিন্ন রূপ প্রদান করে। যদিও এটি প্রাকৃতিক বা আধ্যাত্মিক প্রভাবের সাথে সম্পর্কিত। সবকিছু উপেক্ষা করে শারীরিক এবং মাসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু বিবেচনা করে হাতিশুঁড় গাছের শিকড় কোমড়ে বাধা উচিত।

হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে কি যৌন শক্তি বাড়ে?

হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে যৌন শক্তি বাড়ে। হাতিশুর গাছের শিকড় জনশক্তি বৃদ্ধির বা পুরুষদের বিশেষ সময়ের দুর্বলতা এড়াতে খুবই কার্যকরী গাছের শিকড়। যা খেলে যৌন দুর্বলতা, এবং বন্ধ্যাত্বের সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে যেহেতু এটি ভেজস উদ্ভিদ যা গ্রহণের পূর্বের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

হাতিশুর গাছের শিকড় খেয়ে যদি যৌন সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে অবশ্যই খাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন। আমি আপনাকে খাওয়ার নিয়ম জানাবো,
  • দৈনিক সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস পরিমাণ পানি পান করুন। 
  • হাতিশুর গাছের শিকড় ২ ইঞ্চি পরিমাণ মধুর সাথে মিশিয়ে চিবিয়ে খান।
  • অবশ্যই মনে রাখা উচিত সকালে খালি পেটে শুধু এক গ্লাস পানি পান করার পরে হাতিশুর গাছের শিকড় এবং মধু হবে।
  • এমনকি গাছের শিকরটি 2 ইঞ্চি সমপরিমাণ হওয়া উচিত।
  • এটি গ্রহণের এক ঘন্টার মধ্যে কোন খাবার না খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
  • অবশ্যই মনে রাখুন সকালে খালি পেটে খেতে হবে মধুর সাথে। যদি মধু না থাকে তাহলে 2 ইঞ্চির হাতিশুরের শিকড় চিবিয়ে রস খেতে পারেন।
  • নিয়মিত খেলে ইনশাল্লাহ যৌন সমাধান পাবেন।
  • রাতে ঘুমানোর পূর্বে পান পাতা, হাতিশুর গাছের শিকড়, মধু, কালোজিরা একত্রে চিবিয়ে খেতে হবে। অবশ্যই হতে হবে শতভাগ অরগানিক।
  • এছাড়াও সহবাস করার 15 থেকে 20 মিনিট আগে হাতিশুর গাছের শিকড় এবং পাতা কি চিবিয়ে রস করে খান। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন এবং যৌন দুর্বলতা দূর হবে।
তবে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার মূল লক্ষণ ও বিষয় এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বেশি খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন।

হাতিশুর গাছের অপকারিতা

হাতিশুর গাছ আমরা জানি সাধারণত পরিবেশ এবং আজকের জন্য অধিক উপকারি। তবে এর অপকারিতাও বেশ কিছু পাওয়া যায় যা নিচে দেওয়া হল:
  • হাতিশুর গাছ সাধারণত বিভিন্ন রোগের বাহক যেমন গাছের পাতা, ও শাখায় পোকামাকড়ের উপস্থিতি যা বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটায়।
  • এই গাছটির দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ায় তার পাশের গাছগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে। ফলে ইকোসিস্টেমের সমস্যা দেখা যায়।
  • হাতিশুর গাছের মূল বা শিখর বড় হওয়ায় মাটির রস ও পুষ্টি শোষন করে। ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়।
  • হাতিশুর গাছ পরিবেশের ভারসাম্য এর উপর ফেলতে পারে যদি আশেপাশের অন্যান্য উদ্ভিদ এর উপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে।

হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়?

হাতিশুর গাছ সাধারণত একবর্ষজীবী যা প্রতি বছরে একবার জন্মায়। যার উচ্চতা প্রায় ১৫ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার।  এটি লোমযুক্ত কান্ডের এবং ডিম্বাকার প্রকৃতির পাতাযুক্ত হয়। পাতার গায়ের রং গারো সবুজ যা অমুসলিম খসখসে হয়। এই এই বর্ষজীবী উদ্ভিদটি সাধারণত দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত ইত্যাদি দেশে বেশি জন্মে। হাতিশুর গাছটি সাধারণত বন্যভূমি, পাহাড়ি এলাকা, বাড়ির আশেপাশের জঙ্গলে, মাঠে, নদীর উপকূলীয় এলাকায় বেশি পাওয়া যায়।

হাতির সুর গাছের ছবি

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

হাতিশুর গাছের শিকড় সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে কি হয়?
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন ব্রণ ভালো হয়, ব্রনের কালো দাগ দূর করে, দাঁতের ব্যথা, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, রোধ করে। ক্ষতিকর ছত্রাক এর বিরুদ্ধে লড়াই করে ইত্যাদি খাওয়ার উপকারিতা আছে।

হাতিশুর গাছের শিকড় কিভাবে খেতে হয়?
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম একাধিক রয়েছে। যার মধ্যে গাছের শিকড়ের রস গরম করে খাওয়া, গাছের শিকড় পান পাতার সাথে চিবিয়ে খাওয়া, কালোজিরা তোর সাথে মিশিয়ে খাওয়া। ইত্যাদি উপায়ে হাতিশুর গাছের শিকড় খেতে হয়।

হাতিশুর গাছের শিকড় কি কাজে লাগে?
সাধারণত হাতিশুর গাছের শিকড় ঔষধি গুণ রয়েছে যার বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যৌন সমস্যার সমাধানেও হাতিশুর গাছের শিকড় অন্যতম কার্যকরী গুনাগুন রয়েছে।

হাতিশুর গাছের কোন অংশ খেতে হয়?
হাতিশুর গাছের পাতা, কচি কান্ড, ও শিকড় খেতে হয়।

সারসংক্ষেপ-হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি উক্ত বিষয় আপনারা জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার জন্য বিভিন্ন নিয়ম আছে। তবে আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারী খাওয়ার সঠিক নিয়ম আপনাদের বানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url