ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই যা জানতে হবে

ওয়েব হোস্টিং কেনার কথা ভাবছেন কিন্তু তার আগে যা জানতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ওয়েব হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট অচল। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো, ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে
ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই যা জানতে হবে
ওয়েব হোস্টিং ওয়েবসাইট এর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটের ওয়েব হোস্টিং কিন্তু  কেনার আগে যা জানতে হবে তা জানেন নি। ফলে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন, ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

পোষ্টেরসূচিপত্র ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই যা জানতে হবেঃপ্রিয় বন্ধুরা, আমরা এই পোস্টের মাধমে জানবো ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা না জানলেই নয় বা যে বিষয়গুলো জানতে হবে তা সম্পর্কে সকল  তথ্য।

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই যে বিষয়গুলো জানতে হবে - ৩৬ টি বিষয়

ওয়েব হোস্টিং কেনার পূর্বে অবশ্যই আপনাদের যা জানতে হবে সে বিষয়গুলোর শিরোনাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
  1. ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ
  2. ওয়েব হোস্টিং এর ব্যান্ড উইথ এবং স্টোরেজ
  3. হোস্টিং এর আপ টাইম
  4. ওয়েব হোস্টিং এর বিশ্বাসযোগ্যতা বা নির্ভরযোগ্যতা
  5. হোস্টিং এর সাপোর্টিং সিস্টেম
  6. ওয়েব হোস্টিং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
  7. ওয়েব হোস্টিং এর কন্ট্রোল প্যানেল
  8. দাম ও হোস্টিং রিনিউ ফি
  9. হোস্টিং এর এডিশনাল ফিউচার
  10. হোস্টিং স্কেলেবিলিটি
  11. হোস্টিং এর সার্ভার লোকেশন
  12. কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক
  13. ওয়েব হোস্টিং এর ইমেইল
  14. হোস্টিং ডাটাবেজ সাপোর্ট
  15. ই কমার্স সাপোর্টিং
  16. ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক সাপোর্টিং
  17. ল্যাঙ্গুয়েজ সিস্টেম সাপোর্টিং
  18. ই-কমার্স ওয়েবসাইট সাপোর্টিং
  19. ওয়েবসাইট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট টুলস
  20. রিফান্ড প্রাইভেসি পলিসি
  21. হোস্টিং সার্ভার টেকনোলজি
  22. ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
  23. আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট বিল্ডার টুলস
  24. ওয়েব হোস্টিং ইকো ফ্রেন্ডলি
  25. মাইগ্রেশন সাপোর্টিং
  26. ডেটা সেন্টার সার্টিফিকেসন
  27. হোস্টিং লোডিং ব্যালান্সিং
  28. হোস্টিং আইপি ব্লক সিস্টেম
  29. ওয়েবসাইট ট্রাফিক মনিটরিং সিস্টেম
  30. আপগ্রেড  সিস্টেম
  31. ডাউনগ্রেড সিস্টেম
  32. হোস্টিং রিভিউ এন্ড রেপটেশন
  33. অটো ব্যাকআপ সিস্টেম
  34. হোস্টিং কোম্পানির পরিচিতি
  35. ওয়েব হোস্টিং ব্যবহারের সহজতা
  36. হোস্টিং লিমিটেশন

হোস্টিং কেনার আগে ৩৬ টি বিষয় জানতে হবে

কেনার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে। একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ হচ্ছে ওয়েব হোস্টিং।ওয়েব হোস্টিং কেনার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা আবশ্যক। ঝটপট জেনে নিন, ওয়েব হোস্টিং কেনার আগেই যা জানতে এবং বুঝতে হবে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ: ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ সাধারণত একাধিক। বিভিন্ন ধরনের ওয়েব হোস্টিং পাওয়া যায়। তার মধ্যে হচ্ছে:
  • উইন্ডোজ হোস্টিং: উইন্ডোজ ওয়েব হোস্টিং সাধারণত অন্যান্য হোস্টিং এর চেয়ে দামি। উইন্ডোজ মূলত মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট।
  • লিনাক্স ওয়েব হোস্টিং: অন্যান্য হোস্টিং এর চেয়ে লিনাক্স হোস্টিং ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। তবে আরো বেশি ফিচার হোস্টিং এযুক্ত করতে কিছু পরিমাণে টাকা খরচ করার প্রয়োজন হতে পারে। লিনাক্স হোস্টিং মূলত ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম।
  • ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং: ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং নির্ভরযোগ্য ও স্কেবিলিটি হোস্টিং। এ ধরনের হোস্টিং গুলোতে একের অধিক সার্ভার যুক্ত করা যায়।
  • ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং: ডেডিকেটেড গুলো সাধারণত বৃহৎ আকারের ব্যবসা এবং ওয়েবসাইট গুলোকে ফিজিক্যাল সার্ভারে যুক্ত করার জন্য ব্যবহার হয়।
  • ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার(ভিপিএস): ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ভিপিএস। এ ধরনের ওয়েব হোস্টিং গুলো বেশি বেশি রিসোর্স করতে, নিয়ন্ত্রণে এবং ওয়েবসাইটের ফিজিক্যাল সার্ভার বিভক্ত করে।
  • শেয়ার্ড হোস্টিং: আপনার যদি দুইয়ের অধিক ওয়েবসাইট যুক্ত করার প্রয়োজন হয় তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং আপনার জন্য। এছাড়াও এই হোস্টিং স্বল্পমূল্যের, ব্যবসার ধরন আকারে ছোট, অথবা ব্যক্তিগত সাইটে বেশি ব্যবহার হয়। 
ওয়েব হোস্টিং এর ব্যান্ড উইথ এবং স্টোরেজ: ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করার আগে ব্যান্ডউইথ এবং স্টোরেজ সম্পর্কে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। এটি মূলত ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং ওয়েবসাইটের আকার এর উপর নির্ভরশীল। ওয়েবসাইটে ব্যান্ডউইথ মূলত ট্রাফিক বা ডেটা আদান প্রদানে সহায়ক। আপনার হোস্টিং ব্যান্ড যত বেশি হবে হাই ট্রাফিকের জন্য তত ভালো। একটি ওয়েবসাইটের সকল ফাইল ও ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য মোবাইল মেমোরি স্টোরেজ এর মতো স্পেস প্রয়োজন হয়। যা আপনার ওয়েবসাইটের কি পরিমাণ স্টোরেজ প্রয়োজন হয় তার ওপর নির্ভর করে।

হোস্টিং এর আপ টাইম: সকল ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং আপ টাইম গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত মানের হোস্টিং এর হাফটাইম সাধারণত 99.9% দিয়ে থাকে। ওয়েব হোস্টিং এর আপটইম যদি তুলনায় কম হয় তাহলে সাইট ডাউন হয়ে যাবে।

ওয়েব হোস্টিং এর বিশ্বাসযোগ্যতা বা নির্ভরযোগ্যতা: ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা বা এর নির্ভরযোগ্যতা কেমন তা জানতে হবে। ভালো কোম্পানি সব সময় বিশ্বাস এবং নির্ভরতার সাথে ওয়েব হোস্টিং বিক্রয় করে।
ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে
হোস্টিং এর সাপোর্টিং সিস্টেম: আপনি যে ওয়েব হোস্টিং কিনছেন তাতে কাস্টমার সাপোর্ট 24/7 আছে কিনা তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইটে হোস্টিং সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তখনই আপনাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। হোস্টিং এ কাস্টমার যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার সাপোর্টিং, ইমেইল সাপোর্টিং, লাইভ চ্যাটিং সাপোর্ট সিস্টেম দেখে নিতে হবে।
ওয়েব হোস্টিং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা: সকল প্রকার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। হোস্টিং নিরাপত্তার সিস্টেম বা ফিচার যদি দুর্বল হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ডাটা দ্রুত হ্যাক করা সম্ভব। হোস্টিং এ ডিডোস নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মাল ওয়ার স্ক্যানিং, এসএসএল সার্টিফিকেট নিরাপত্তা সিস্টেম যুক্ত আছে কিনা তা জানতে হবে।

ওয়েব হোস্টিং এর কন্ট্রোল প্যানেল: সকল ওয়েবসাইটের ইউজারদের ফ্রেন্ডলি ইউজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইউজারদের আরো আকৃষ্ট করে। এমন কি যদি ফ্রেন্ডলী কন্ট্রোল সিস্টেম থাকে তাহলে সহজে ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট সুবিধা পাওয়া যায়।

দাম ও হোস্টিং রিনিউ ফি: হোস্টিং কেনার সময় হোস্টিংয়ের দাম কত এবং পরবর্তীতে রিনিউ করতে কত টাকা লাগে তা সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা অনেক হোস্টিং আছে যেগুলো ক্রয় করার সময় কম দামের হয়, কিন্তু রিনিউ করতে ক্রয় মূল্য থেকে বেশি টাকা দাবি করে।

হোস্টিং এর এডিশনাল ফিউচার: একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে এডিশনাল ফিচার যেমন ইমেইল হোস্টিং সুবিধা, ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার, ফ্রি উন্নতমানের ডোমেইন প্রোভাইড করে এমন হোস্টিং ব্যবহারে সহজ করে।

হোস্টিং স্কেলেবিলিটি: আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক যদি ওয়েব হোস্টিং এর ধারণ ক্ষমতার বাইরের চলে যায় তাহলে হোস্টিং আপডেট করতে হবে। এমন অবস্থায় হোস্টিং এর স্টেবিলিটি সুবিধা আছে কিনা তা জানতে হবে জেনে হোস্টিং ক্রয় করা উচিত।

হোস্টিং এর সার্ভার লোকেশন: একটি ওয়েবসাইটের টার্গেট অডিয়েন্স এর জন্য লোকেশন ভিত্তিক হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন আপনার যদি USA ট্রাফিক টার্গেট হয় তাহলে ইউএসএ সার্ভারের ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করতে হবে।

কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক: ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের কাছে দ্রুত গতিতে এবং নিরাপদে কন্টেন্ট পৌঁছানোর জন্য সিডিএন ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েব সাইটের পারফরমেন্স উন্নত করতে এবং হাই সিকিউরিটি সমর্থন করে। আপনি যে ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করছেন সেটিতে ফ্রি সিডিএন প্রোভাইড করে কিনা তা জেনে নিন।

ওয়েব হোস্টিং এর ইমেইল: আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে প্রফেশনাল ইমেইল ব্যবহার করা প্রয়োজন।আপনার পছন্দের ওয়েব হোস্টিং টি প্রোফেশনাল ইমেইল সুবিধা সহ ইস্পেন সিকিউরিটি, এবং ইমেল স্পেস সম্পর্কে জানতে হবে।

হোস্টিং ডাটাবেজ সাপোর্ট: ডাটাবেজ ব্যবহার করা ওয়েবসাইট গুলোতে মাইএসকিউএল, পোস্ট গ্রেস কিউএল ডাটাবেজ এর সাপোর্ট সিস্টেম থাকা প্রয়োজন। আপনার ওয়েবসাইটের উপর ভিত্তি করে আছে জানতে হবে।

ই কমার্স সাপোর্টিং: সকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে ই-কমার্স সাপোর্ট সিস্টেম, ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি সিস্টেম, এস এস এল সার্টিফিকেট, পেমেন্ট সিস্টেম, গেটওয়ে সিস্টেম সকল বিষয় থাকা প্রয়োজন। আপনার যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট হয় তাহলে এসব বিষয় হোস্টিং এর আছে কিনা জানতে হবে।

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক সাপোর্টিং: ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য ফ্রেমওয়ার্ক ও প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন পিএইচপি, পাইথন, রুবি, জাভা স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে তা জানতে হবে।

ল্যাঙ্গুয়েজ সিস্টেম সাপোর্টিং: ওয়েব হোস্টিং একাধিক ভাষা সমর্থন করে এমন ওয়েব হোস্টিং নির্বাচন করুন। যা আপনার ওয়েবসাইটের উন্নত মানের ডেভেলপমেন্ট তে সহযোগী হবে।

ওয়েবসাইট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট টুলস: ওয়েবসাইটে ট্রাফিক মনিটরিং করা এবং পারফরম্যান্স টাইপ করা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট ট্রাফিক মনিটরিং সিস্টেম, পারফরমেন্স ট্র্যাকিং, গুগল অ্যানালাইটিস ইত্যাদি টুলস প্রোভাইড করে এমন ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দেখে ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করুন।

রিফান্ড প্রাইভেসি পলিসি: মানিব্যাক সমর্থন করে এমন ওয়েব হোস্টিং দেখে ক্রয় করার চেষ্টা করুন।

হোস্টিং সার্ভার টেকনোলজি: ওয়েব হোস্টিং এর আপডেট সার্ভার ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপডেট সার্ভার যেমন লাইট স্পিড সার্ভার, এসএসডি স্টোরেজ, আনলিমিটেড ট্রাফিক, প্রিমিয়াম এসইও টুলস ইত্যাদি সার্ভার টেকনোলজির পাওয়া যায় এমন হোস্টিং নির্বাচন করুন।

ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: যেসব ওয়েব হোস্টিং এর ডোমেইন ফ্রী রেজিস্ট্রেশন, অটো রিনিউয়াল এবং ট্রান্সফার সিস্টেম প্রোভাইড করে সেসব হোস্টিং নির্বাচন করুন।

আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট বিল্ডার টুলস: এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলো নতুন ওয়েবসাইট বিল্ড করতে সহজ পদ্ধতির টুলস দেয় যেমন ড্রাগ এন্ড ড্রপ ইজি টুলস। গুলো ব্যবহার করে কোনরকম কোডিং ছাড়াই সহজেই আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এমন ফিচার এর ওয়েব হোস্টিং দেখে নিন।

ওয়েব হোস্টিং ইকো ফ্রেন্ডলি: আপনার যদি ওয়েবসাইট পরিবেশবান্ধব হয় তাহলে আপনার প্রয়োজন ইকো ফ্রেন্ডলি হোস্টিং যা একটি গ্রীন ওয়েব হোস্টিং।

মাইগ্রেশন সাপোর্টিং: আপনি যে নতুন হোস্টিং ক্রয় করছেন সে হোস্টিং এ মাইগ্রেশন সাপোর্ট আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। কেননা এক হোস্টিং থেকে আরেকটি হোস্টিং এ স্থানান্তর করতে মাইগ্রেশন সাপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ।

ডেটা সেন্টার সার্টিফিকেসন: একটি ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি জন্য সার্টিফাইড ডেটা সেন্টার ওয়েব হোস্টিং প্রয়োজন। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে এবং আপনার ডাটার সিকিউরিটি সুরক্ষা দিবে। ওয়েব হোস্টিং এ ডেটা সেন্টার সার্টিফিকেসন আছে কিনা তা জানা জরুরী।

হোস্টিং লোডিং ব্যালান্সিং: ওয়েবসাইটের ট্রাফিক একাধিক সার্ভারের যা ট্রাফিকদের সমানভাবে সার্ভার লোডিং টাইম প্রোভাইড করে। হোস্টিং এ লোড ব্যালান্সিং সিস্টেম থাকা জরুরি। এই বিষয়ে গুলো দেখে ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করা উচিত।

হোস্টিং আইপি ব্লক সিস্টেম: ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা অন্যান্য ওয়েবসাইট নির্দিষ্ট কোন আইপি বা অঞ্চল থেকে এক্সেস করার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং আইপি ব্লকিং ও জিও ব্লক সুবিধা পাওয়া যায় এমন ওয়েবসাইট নির্বাচন করা উচিত।

ওয়েবসাইট ট্রাফিক মনিটরিং টুলস: ওয়েব সাইট এর ট্রাফিক মনিটর করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ওয়েবসাইট গ্রো করার সিক্রেট খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আপনার পছন্দ করা ওয়েব হোস্টিং ওয়েবসাইট ট্রাফিক মনিটরিং টুলস এর ব্যবস্থা আছে কিনা তা জানতে হবে।

আপগ্রেড সিস্টেম: হোস্টিং প্ল্যান পরিবর্তন করতে আপডেট সিস্টেম প্রয়োজন হয়। আপডেট সিস্টেম আছে কিনা তা জেনে হোস্টিং ক্রয় করুন।

ডাউনগ্রেড সিস্টেম: কিছু সময় বা কিছু ক্ষেত্রে ওল হোস্টিং প্ল্যান পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে তখন আপনার ডাউনগ্রেড সিস্টেম প্রয়োজন হয়। ডাউনগ্রেড সিস্টেম দেখে এবং জেনে হোস্টিং নিন।
হোস্টিং ডাটা প্রাইভেসি: ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা, ডাটার সুরক্ষা প্রদানের জন্য হোস্টিং ডেটা প্রাইভেসি বা নীতিমালা সম্পর্কে জানতে হবে।

হোস্টিং রিভিউ এন্ড রেপটেশন: আপনি যে হোস্টিংটি ক্রয় করবেন সেটার কাস্টমার রিভিউ এবং রেপুটেশন সম্পর্কে জানতে হবে।
ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে
অটো ব্যাকআপ সিস্টেম: যদি কোন দুর্ঘটনা বসত ওয়েবসাইটের ডাটা মুছে যায় তাহলে অটো ব্যাকআপ সিস্টেম থাকলে আপনি পরবর্তীতে মুছে যাওয়া ডাটা রিকভারি করতে পারবেন। সুতরাং অটো ব্যাকআপ সিস্টেম ওয়েব হোস্টিং সুবিধা দেয় কিনা তা জানতে হবে।

হোস্টিং কোম্পানির পরিচিতি: আপনি যে হোস্টিং ক্রয় করছেন সেটি কোন কোম্পানির, কোম্পানির পরিচিতি, বিশ্বাস যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।

ওয়েব হোস্টিং ব্যবহারের সহজতা: যে ওয়েব হোস্টিং ব্যবহারে সহজেই ব্যবহার করা যায় এমন হোস্টিং জেনে কিনেন।

হোস্টিং লিমিটেশন: ওয়েবসাইটের যত বয়স হবে ততটা ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে। যেসব ওয়েব হোস্টিং আনলিমিটেড ট্রাফিক সুবিধা দেয় তা জানতে হবে।

ওয়েব হোস্টিং বলতে কি বুঝায়?

পোস্টিং বলতে বুঝায় এটি একটি ওয়েব সার্ভার যা সাহায্যে কোন ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট স্পেস বা জায়গা তৈরি করে। যখন একটি ওয়েবসাইট এ ওয়েব হোস্টিং যুক্ত করা হয় তখন ওয়েবসাইটটি ওয়েব সার্ভারে জায়গা করে নেয়। আর এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট গুলো যেকোন স্থান থেকে সার্চ করার মাধ্যমে গুগল এ দেখতে পারি।

ওয়েব হোস্টিং এর আরও সহজ অর্থ হচ্ছে হোস্টিং মূলত একটি ওয়েবসাইটের অনলাইন এর নির্দিষ্ট স্পেস বা ভূমি অথবা জায়গা। একটি যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটের সকল তথ্য বা পেজ সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যা মূলত গুগল এর ওয়েব সার্ভারে জমা থাকে। কোন ব্যক্তি যখন কোন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের কাছে রিকোয়েস্ট করে তখন ওয়েবসাইটের ওয়েব সার্ভারে থাকা ফাইলগুলো থেকে উক্ত ব্যক্তিকে সেই বিষয় সম্পর্কে উপস্থাপন করে। এটি হচ্ছে ওয়েব হোস্টিং।

ওয়েব হোস্টিং কিভাবে কাজ করে?

  • বর্তমানে অনলাইন জগতে অনেক বিশ্বস্ত হোস্টিং কোম্পানী আছে যারা ওয়েবসাইট মালিকদের তাদের হোস্ট সার্ভারে কিছু নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে জায়গা করে দেয়।
  • আপনারা যখন ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিগুলো থেকে ওয়েব হোস্ট এর ক্রয় করে আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট কানেক্ট করান। তখন নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা অথবা ডোমেইন নেম এর প্রয়োজন হয়।
  • সেই ডোমেইন নেম ওয়েব সার্ভারে যুক্ত করার পর সার্ভারের ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় সকল ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টস, এইচটিএমএল পেজ, আপলোড করা হয়।
  • আপলোড করার পরে গুগল সার্ভারে যখন ফাইলগুলো জমা হয় তখন যদি কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা দিয়ে সার্চ করে তাহলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে ওই ব্যক্তিকে জানানোর জন্য ব্যক্তির সামনে ওই বিষয়টি উপস্থাপন করে।
  • সার্চ করা ঠিকানাটি যে কোন দেশ, যে কোন স্থান বা যেকোনো সময় সার্চ করা ব্যক্তিকে জানতে পড়তে বুঝতে সাহায্য করে।
  • কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার ডিভাইস যেমন মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করে ওয়েব এড্রেস অথবা নির্দিষ্ট ঠিকানা লিখে কোন ওয়েবসাইটের প্রবেশ করে তখন তার ব্যবহার করা ডিভাইসটি ওয়েব সার্ভারের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
  • এরপর যে ব্যাক্তি ওয়েব সাইবার ভিজিট করছে তার ব্রাউজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজন এবং ওই ওয়েবসাইটের সার্ভারে থাকা কনটেন্ট গুলো ওই ব্যক্তিকে প্রদর্শন বা পড়তে জানতে সহযোগিতা করে।

সারসংক্ষেপ

আজকে আমাদের পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয় ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যা আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়লে ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে না জানলেই নয় বা অবশ্যই যা জানতে হবে সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করি উপকৃত হবেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আমাদের ওয়েব সাইটের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য, এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এছাড়াও ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে বা অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন বা জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url