ঘরে বসে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়: গুগল এডসেন্স এর কাজ কি

ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করুন

• ঘরে বসে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে ওয়েবসাইট আপনার ব্যক্তিগত হতে হবে।
• ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ১৮ বছরের কম হলে এডসেন্স এপ্রুভ করেনা।
• তবে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর না হয় তাহলে আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজন মা বাবা ভাই বোন অন্যান্য স্বজনদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করে একাউন্ট এপ্লিকেশন করতে পারবেন।
• আপনার ওয়েবসাইটের সকল কন্টেন্ট যেন এ আই কনটেন্ট না হয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দাঁড়ার লেখা কনটেন্ট গুগলে এডসেন্স পাওয়া যায় না। সুতরাং এআই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কনটেন্ট সম্পূর্ণ ইউনিক এবং হিউমান আটিকেল লিখুন।
• গুগল এডসেন্স এর গোপনীয়তা ও নীতিমালা অনুসারে এডাল্ট কনটেন্ট, গানের কনটেন্ট, প্রোডাক্ট বেচাকেনা অর্থাৎ ই কমার্স, অবৈধ কোন সফটওয়্যার বা অ্যাপস, কনটেন্ট হলে বা কনটেন্ট এর ভিতর থাকলে গুগল এডসেন্স দেয় না। গুগল এডসেন্স থেকে আয় আর যদি আপনার ঘরে বসে হয় তাহলে এসব বিষয় ফিরে চলুন।
• গুগল এডসেন্স পূর্বে আপনার ওয়েবসাইটে প্রায় ২০ বা তার বেশি সম্পূর্ণ ইউনিক পোস্ট রাখুন।
• আপনার ওয়েবসাইটে যদি প্রায় ১০০ ক্লিক প্রতিদিন পাওয়া যায় তাহলে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করলে তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন।
• ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা, ওয়েবসাইট সম্পর্কে, ওয়েবসাইটের গোপনীয়তা ও নীতিমালা, প্রাইভেসি পলেসি এইসব পেজ সম্পূর্ণ করে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।

• প্রথমে গুগলের সার্চবার থেকে AdSense লিখে সার্চ করুন অথবা এই পোস্টে দেওয়া লিংক এডসেন্স এর উপর ক্লিক করুন। ক্লিক করলে আপনাকে গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটে সরাসরি নিয়ে যাবে।
• লিংকে ক্লিক করলে আপনার স্কিনে এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। পেজটি আপনি ইংলিশে কনভার্ট করে নেবেন বুঝতে সহজ হতে পারে। তারপর শুরু করুন বা get started বাটনে ক্লিক করুন।
  

• তারপর আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করুন। যে জিমেইলে আপনি গুগল এডসেন্স একাউন্ট করতে চাচ্ছেন। জিমেইল ক্লিক করুন। ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে।

• ছবিতে প্রদর্শিত আপনার ওয়েবসাইটের লিংক, যে দেশ থেকে আপনি পেমেন্ট নিবেন অথবা যে দেশে আপনি বসবাস করছেন ওই দেশ নির্বাচন করুন। ছবিতে চিহ্নিত স্থানে টিক মার্ক দিন। গুগল এডসেন্স এর ট্রামস এন্ড কন্ডিশনস পড়ে নিন, গেলে গুগল এডসেন্স এর ট্রামস এন্ড কন্ডিশনস একমত পোষণ করে Start using AdSense বাটনে ক্লিক করুন।

• নতুন পেজ পাবেন যেখানে আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় তথ্য, আপনার ওয়েবসাইটের এড সেটাপ, এবং গুগল এডসেন্স এর জন্য ওয়েবসাইট কানেক্ট করার অপশন পাবেন। এই তিনটি অপশন ফুলফিল সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে লেটস গো বাটনে ক্লিক করলে আপনার অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে যাবে। সেখান থেকে একটি কোড পাবেন যা গুগল এর কাছে আপনার ওয়েবসাইটের উপস্থিতি বুঝাতে সাহায্য করবে।

• সেই কোডটি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের থিম অপশনে গিয়ে গুগল নির্দেশনা অনুযায়ী বসান। আপনার কাজ শেষ। এখন অপেক্ষা করুন পরবর্তী সুফল পাওয়ার আশায়। তবে এখানেই কাজ শেষ নয় আপনাকে আবেদন করার পর আর্টিকেল লেখার প্রতি আরো মনোযোগী হয়ে উঠতে হবে। আপনি যত ইউনিক আর্টিকেল পোস্ট করবেন তত আপনার ওয়েবসাইটের গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

• বিজ্ঞাপন দাতা সাধারণত কোন কোম্পানি বা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ যারা গুগল এর কাছে বিজ্ঞাপন বিক্রি করে তাদের কোম্পানি বা তাদের প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য।
• পাবলিশার্স তাদের বলা হয় ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল এর মালিক। একজন পাবলিশার্স গুগল এডসেন্স এর প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দর্শকদের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করছে।

• গুগল এডসেন্স এর আয় সাধারণত ডলারে জমা হয়। তবে যখন ব্যাংক ট্রান্সফার করা হয় তখন টাকায় কনভার্ট হয়ে যায়।
• যেসব ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিটর বেশি সেগুলো ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
• ভিজিটর ওয়েবসাইটএর কনটেন্ট পড়ার সময় যদি কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তাহলে এই ভিউ এবং ক্লিকের উপর ভিত্তি করে গুগল এডসেন্স টাকা বা ডলার দেই।
• আপনার ভিউ এবং ক্লিকের সংখ্যা যত বেশি হবে গুগল এডসেন্স থেকে আয় তত বেশি হবে আসবে।
• ভিউ এবং ক্লিকের দুটি সূত্র আছে যে সূত্র অনুসরণ করে ডলার টাকা পাওয়া যায়।
• একটি হচ্ছে সিপিসি যার ফুল মিনিং কস্ট পার অ্যাকশন। মানে প্রতি ক্লিকে যে ইনকাম হয় যা ইনকাম হয় তাই সিপিসি। যার আয় ৬৮ ভাগ হয়।
• ইপিসি মানে আর্নিং পার ক্লিক। ইপিস এর আয় ৬৮ পয়সা। যদি একটি বিজ্ঞাপন ক্লিকে এক টাকা হয়।
• গুগল এডসেন্স একাউন্টে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করতে হয়। যখন গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার হলে আপনাদের যুক্ত করা ব্যাংক একাউন্টে টাকা বা ডলার ট্রান্সফার করে গুগল কর্তৃপক্ষ।

• ব্লগ সাইট: যেকোনো একটি নিস নির্বাচন করার মাধ্যমে ব্লগ সাইট তৈরি করুন। ব্লক সাইটে আপনার নির্বাচন করা জিনিস নিয়ে নিয়মিত পোস্ট আপডেট করতে থাকুন। দেখবেন আস্তে আস্তে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
• গুগল ফোরাম সাইট: আপনি যদি একজন প্রাণী লাভার হয়ে থাকেন তাহলে প্রাণী রিলেটেড যেমন বিড়াল, পোষা কুকুর,ঘোড়া, ইত্যাদি প্রাণী সম্পর্কে গুগল ফোরাম সাইট তৈরি করুন। সাইটের নিয়মিত আপডেট করুন এবং কাজ করুন যেন বেশি বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায়। এই সাইটগুলো গুগল বেশি পছন্দ করে এবং তাড়াতাড়ি এডসেন্স চালু করে দেয়।
• অনলাইনের ফ্রি টুল ব্যবহারের সাইট: আপনি একজন দক্ষ ডেভলপার। অনলাইনে ফ্রি টুল ব্যবহার করা যায় এমন টুলস তৈরি করতে পারেন। সেই টুলস এর গ্রাহক পরিষেবা করার দেওয়ার জন্য অনলাইন ফ্রি টুলস সাইট তৈরি করুন। আপনার ডেভেলপ করা টুলস গুলো নিয়মিত আপডেট করতে থাকুন। দেখবেন অল্প আপনি সফলতা পেয়ে গেছে। কেননা গুগল এই ধরনের সাইটগুলো অগ্রাধিকার দেয়।

• গুগল এডসেন্স চালালে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না।
• গুগল এডসেন্স সব সময় গ্রাহকদের সেফটি প্রদানে হাই সিকিউরিটি ট্রান্সপারেন্সি ব্যবহার করে।
• গুগল এডসেন্স একাধিক ফরমেট সহ google text image, html বিজ্ঞাপনের ভিডিও সমর্থন করে।
• বর্তমানে বিশ্বে প্রায দেড় কোটি বা তার অধিক ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স চালায়।
• অ্যাড ওয়ার্ডস ব্যবহার করার মাধ্যমে সহজে গুগল এডসেন্স দিয়ে ওয়েবসাইটে দেখানো যায়।
• অটো অ্যাডস এবং ম্যানুয়াল এ্যাড যুক্ত করার সুবিধা পাওয়া যায়।
• গুগল অ্যাডসেন্স এর প্রদর্শিত এডস গুলো ডিভাইস রেস্পন্সিব। যা মোবাইলের জন্য মোবাইল ফরমেটে এবং ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এছাড়া অন্যান্য ডিভাইসের জন্য কনভার্ট হয়ে যায়। এটি একটি অ্যাড সিন্স এড্স।
• এর সাহায্যে অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যক্তিগত কোনো পণ্য থাকার প্রয়োজন হয় না।
• গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অন্য কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সহজে অ্যাড প্রদর্শন করা যায় গুগল এডসেন্স ছাড়াও।
• গুগল এডসেন্স রিলেটেড চাকরি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।
• গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য কোনরকম জটিলতা বা বাধা এবং পেমেন্ট ছাড়ায় যুক্ত হওয়া যায়।