বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

বিচি কলার সকল প্রকার ভিটামিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রেও বিচি কলা স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী। আপনারা কি জানেন বিচি কলা খেলে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা পাওয়া যায়। আমি আপনাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানাবো, বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
বিচি কলা পছন্দের এবং অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। প্রায় সব জায়গায় বিচি কলার গুনাগুনের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে, খাবারের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্ধুরা চলুন জেনে নেই, বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

পোষ্টেরসূচিপত্রঃপ্রিয় বন্ধুরা, আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো, বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য। তবে উক্ত বিষয় জানার পূর্বে বা জেনে নেই বিচি কলার পুষ্টিগুণ ও উপাদান সমূহ।

বিচি কলার পুষ্টি গুণ ও উপাদান

বিচি কলা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে। বিচি কলায় আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফলিক এসিড, আয়রন, জিংক, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কপার, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, লীগনানস, সেলেনিয়াম, স্টেরলস, পলিফেনলস ইত্যাদি চি কলার পুষ্টিগুণ ও উপাদান সমূহ।

বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

পৃথিবীর সব খাবারে উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও বিদ্যমান। তেমনি বিচি কলার যেমন উপকারিতা আছে, অপকারিতা আছে। তাহলে বন্ধুরা ঝটপট জেনে নেওয়া যাক বিচি কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য।

বিচি কলার উপকারিতা

বিচি কলার ক্যান্সার প্রতিরোধী: বিচি কলাতে এক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক যৌগ উপাদান থাকে যা টিএনএফ-এ নামে পরিচিত। এই যৌগ উপাদানটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে না, শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। ফলে ব্লাড ক্যান্সার মরণঘাতী রোগের প্রতিরোধ করে এবং ঝুঁকি কমায়।

হার্টের সুস্থতায় বিচি কলা: বিচি কলা খাওয়ার ফলে হার্ট ভালো থাকে। বিচি কলা খেলে পটাশিয়াম পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা হার্ট অ্যাটাক থেকে এবং স্ট্রোক করার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এছাড়াও ব্লাড প্রেসার কমায় এবং হার্টের গুরুত্বপূর্ণ পেশীগুলো আরো উজ্জীবিত করে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিচি কলা: নিয়মিত বিচি কলা পরিমাণ মতো খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়ক। বিচি কলা রক্তের শর্করার মান বৃদ্ধি থেকে এবং ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

আলসার নিরাময়ে বিচি কলা: বিচি কলাতে থাকে নিউ সিলেজ যা পেটের গ্যাস্ট্রিক আলসার ভালো করতে পাকস্থলীর আলসারের আক্রান্ত মিউকাস সুস্থ করতে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন পরিমাণ মতো বিচি কলা খেলে আলসারের জন্য ভালো উপকার পেতে পারেন।

বিচি কলা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে: আপনি যদি দৈনিক কমপক্ষে দুইটি বিচি কলা খেতে পারেন তাহলে দেহে দ্রুত শক্তির প্রধান উৎস হবে। বিচি কলার গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, ফাইবার সহজে রক্তে মিশে যায় এবং দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।

কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিচি কলা: কিডনির কার্যক্রম দক্ষতার সাথে করার জন্য বিচি কলার পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় গবেষকদের মতে, কিডনির সমস্যা ৪০ শতাংশ কমে যায়, যদি কোন ব্যক্তি দৈনিক দুটি করে কলা খায়। এমনকি কিডনিতে পাথর এবং মূত্রনালীতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

বিচি কলা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে: যদি কোন ব্যক্তি দিনে ন্যূনতম একটি বিচি কলা খাওয়ার অভ্যাস করে তাহলে তার স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিচি কলা মগজের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহক, ব্যক্তির স্মরণশক্তি বাড়ায়। ফলে যে কোন কথা সহজে মনে রাখতে পারে।

মানসিক চাপ কমাতে বিচি কলা: বিচি কলা ট্রিপ-টু-ফ্যান অ্যামিনো এসিড এই উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ যোগানদাতা। বিচি কলার অ্যামিনো এসিড উপাদানটি রাসায়নিকভাবে রক্তে মিশে সেরাটোনিনে পরিণত করে। যা মানসিক শান্তির সহযোগী। বিচি কলার সেরাটোনিন মানসিক চাপ কমায়, মন প্রফুল্ল রাখে, মানসিক বিষন্নতা দূর করে এবং আরামদায়ক ঘুমের জন্য কার্যকারী।

বিচি কলা ভিটামিনের প্রধান উৎস: বিভিন্ন অগণিত ভিটামিন পেতে প্রতিদিন বিচি কলা খান। প্রায় সব ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণে বিচি গলা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিচি কলার সকল ভিটামিন শরীরের জন্য অধিক উপকারী। যা সহজে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সহযোগী।

হজমে বিচি কলার ভূমিকা: চর্বিযুক্ত খাবার এবং অন্যান্য ভারী খাবার দ্রুত হজমে প্রতিদিন বিচি কলা খেতে পারেন। খাবার খাওয়ার প্রায় আধাঘন্টা পর পরিমাণে একটি বিচি কলা খেতে পারেন তাহলে খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করবে। কলার পেকটিন ফাইবার চর্বি ও ভারী খাবারের ক্ষতিকর সব খাবার পেটে প্রক্রিয়া পরিচালনা করে যা হজম করায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বিচি কলা: কোষ্ঠকাঠিন্য অসস্তিকার পরিস্থিতির সৃষ্টির একটি প্রধান কারণ।এর ফলে খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। পরিমাণ মত বিচি কলা কোষ্ঠকাঠিন্য অস্বস্তিকর রোগের সমাধান করতে পেকটিন ফাইবার কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিচি কলার কেরামতি: বিচি কলা ছোট ছোট রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। বিচি কলার ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্ষতিকর জীবাণু অনুপ্রবেশ বাধা সৃষ্টি করে এবং দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

চোখের জন্য বিচি কলা: বিচি কলা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই এর প্রধান উৎস। যা খেলে দেহের ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ করে এবং চোখের দেখার সক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর ভিটামিন ই যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
স্বাস্থ্যকর ওজনে বিচি কলার কেরামতি: বিচি কলা অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি রোধ করে এবং চিকন রোগা ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধি করে। ওজন বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন পরিমান মত দুধ ও বিচি কলা খান। ওজন কমাতে বেশি বিচি কলা খাওয়ার পরিবর্তে আধা পাকা পরিমাণের দুটি খান।

তারুণ্য ধরে রাখতে বিচি কলার কার্যক্রম: ব্যক্তির বার্ধক্য এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও উপাদান এর প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে বিচি কলা। বিচি কলা দেহের প্রয়োজনীয় কোষ যা বার্ধকের সাথে সম্পৃক্ত, সেগুলোকে বিচি কলার ভিটামিন ই পুষ্টি যোগায় এবং তারুণ্যতা বজায় রাখে। এছাড়াও কলাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম যা ত্বকের সুস্থ কোলাজেন গঠন করে এবং ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতির থেকে রক্ষা করে সুস্থ রাখে।

বিচি কলার দেহের রক্ত বাড়ায়: বিচি কলার ভিটামিন বি৬ শরীরের লোহিত রক্তকণিকা প্রাকৃতিকভাবে বাড়ায়। নিয়মিত বিচি কলা খাওয়ায় দেহের হার শক্ত ও মজবুত করে, হাড়ের মাধ্যমে দেহের প্রয়োজনীয় পরিষ্কার রক্ত কণিকা উৎপন্ন করে যা শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ করে।

বিচি কলার অপকারিতা

  • বিচি কলার উচ্চ ফাইবার যুক্ত যা বেশি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
  • বিচি কলা খাওয়ায় অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কারণ হয়।
  • অতিরিক্ত বিচি কলা খেলে পেটে গ্যাস ও ডায়রিয়া দেখা দেয়।
  • এমন ব্যক্তি আছে যাদের বিচি কলায় এলার্জি, তারা যদি বিচি কলা খায় তাহলে তাদের শরীরে এলার্জি, চুলকানি, ফুসকুড়ি ও অ্যালার্জি সম্পর্কিত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
  • অতিরিক্ত পাকা বিচি কলা খাওয়ার কারণে দেহের অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধির কারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বিচি কলা নিয়মের বাহিরে গ্রহণ করলে পটাশিয়াম কিডনি রোগীদের জন্য কিডনি ক্ষতি হয়ে থাকে।
  • বিচি কলাতে কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকে যা বিচি কলা খাওয়ার ফলে দেহের অনুপ্রবেশে বিভিন্ন রোগের কারণ হয়।
  • বিচি কলায় সোডিয়াম থাকে যা বেশি পরিমাণে খেলে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়।
  • কিছু ক্ষেত্রে বিচি কলা খাওয়ায় পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাসের সৃষ্টি এবং অস্বস্তি অনুভব হয়।
  • বিচি কলা পুষ্ট ও পরিপক্ক না হলে পেটে প্রক্রিয়াকরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অনেকেই বিচি কলা তেল দিয়ে ভেজে খেতে পছন্দ করেন, যা বেশি তেল বা অস্বাস্থ্যকর তেল বা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা ও পুষ্টির উপাদান কমে যায়।
  • বিচি কলা সঠিক প্রক্রিয়াজাত ও প্রস্তুত না হলে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ কমে যায় ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা থেকে অপকারিতা হতে পারে।

বিচি কলা যেসব রোগের ঔষধ

বিচি কলা ঔষধি গুনাগুন আছে যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হয়। বিচি কলার ফুল রান্না করে খেলে আমাশয়, আলসার, ব্রংকাইটিস রোগের নিরাময় করতে ঔষধি কাজ করে। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় যা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়। দেহের রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করতে, জ্বর, স্থায়ী আমাশয়, কুষ্ঠ রোগ, হিস্টেরিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের প্রতিরোধী ঔষধ হচ্ছে কলা গাছের রস। বিচি কলার নাইট্রোজেন, ফসফরাস ক্যালসিয়াম শরীরের সুস্থ সবল টিস্যু তৈরি করে।

বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি

বিচি কলা খাওয়ার কিছু সাধারন নিয়ম বা পদ্ধতি মেনে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।  বিচি কলা খাওয়ার কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:
  • বিচি কলা খাওয়ার পূর্বে সময় এবং দৈনিক পরিমাণ নির্ধারণ করুন।
  • খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে পরিষ্কার বা  ধোয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
  • রান্না করে  খাবার বিচি কলা খাওয়ার জন্য ভালোভাবে রান্না করুন যা খাবারকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করবে।
  • বিচি কলা খাওয়াই প্রথম হলে পরিমাণে অল্প অল্প গ্রহণ করুন। যা হজম প্রক্রিয়াকরণে সহজ।
  • বিচি কলার পুষ্টি উপাদান বেশি পাওয়ার জন্য অন্যান্য স্বার্থপর খাবারের সাথে খেতে পারেন।
  • বিচি কলা খাওয়ার পূর্বে সঠিক সংরক্ষণ করার স্থান বিবেচনা করুন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করা হলে তা না খাওয়ায় উত্তম।
  • গ্যাস্ট্রিক, অ্যালার্জি, কিডনি রোগ আছে এমন ব্যাক্তি বিচি কলা এড়িয়ে চলুন।
  • বিচি কলা খাওয়ার কারণে কারণে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক খাওয়া বন্ধ করুন।
  • বিচি কলা খাওয়ার পর যদি কোনরকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেই তাহলে  চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়া যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়া যাবে তবে স্বাস্থ্যবিধি এবং সতর্কতা মেনে খেলে গর্ভাবস্থায় অধিক উপকারী হয়। যেহেতু বিচি কলায় বিভিন্ন ভিটামিন, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি প্রস্তু উপাদান সরবরাহ করে, তা খেলে এই উপাদানসহ প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে সহায়ক। যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজন।
পরিমাণ মতো বিচি কলা খেলে হজম প্রক্রিয়াকরণে, হজমের সমস্যায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে বিচি কলা খাওয়ার পূর্বে সকল গর্ভবতী মায়ের সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে বিচি কলা দৈনিক পরিমাণের তুলনায় বেশি খাওয়া যেন না হয়।

বিচি কলার রেসিপি

বিচি কলার রান্না করে খাওয়া উপযুক্ত হতে পারে। আরও অন্যান্য সবজি একসাথে মিলিয়ে বিচি কলা দিয়ে সুন্দর সুস্বাদু রেসিপি রান্না করা যায় যা মুখে স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং উপকারী হতে পারে। বিচি কলা দিয়ে রান্না করা যায় এমন সবজির মধ্যে হচ্ছে টমেটো, পেঁয়াজ, শসা, ধনিয়া পাতা, লেবুর রস, জলপাইয়ের তেল, মরিচের গুঁড়া, লবণ চিনি ইত্যাদি বিক্রি করা বেশি তৈরি করা প্রধান উপকরণ।

আটিয়া কলার উপকারিতা

আপনারা বিচি কলা পছন্দ করছেন না, বিচি কলা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলছেন। আপনাদের উচিত বিচি কলা খাওয়া। তবে যদি বিজি কলার ঔষধি গুন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে আজ থেকেই বিচি কলা খাওয়ার জন্য খোঁজাখুঁজি শুরু করবেন। বিচি কলাতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন আছে ও কিছু রোগের ঔষধ। বিচি কলাতে যেসব উপকারিতা পাওয়া সুস্থ টিস্যু গঠন করতে, নাইট্রোজেন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস উপাদানগুলো ভূমিকা রাখে। বিচি কলা গাছের ফুলের রস খেলে আলসার, আমাশয়, ব্রংকাইটিস, ডায়াবেটিস, ইত্যাদি রোগের ঔষধি কাজ করে।

সিঙ্গাপুরি কলার উপকারিতা

সিঙ্গাপুরি কলা সাধারণত সিঙ্গাপুরের কলা বলা হয়। সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে যা, সিঙ্গাপুরে কলা ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি ভিটামিন ঘাটতিপূর্রণে সহায়ক। হওয়ার হলে পেটের সমস্যা, হজমে উন্নতি, কোষ্ঠকাঠিন্য, সুস্থ পাকস্থলের করতে সর্বাধিক কাজ করে। এমনকি হার্টের সুস্থতায়, মেজাজ উন্নত করতে, ত্বকের উজ্জ্বল করতে, স্বাস্থ্যসম্মত ওজন ধরে রাখতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

চাপা অথবা চম্পা কলা খাওয়ার উপকারিতা

চম্পা কলা আকারে ছোট হলেও অধিক স্বাদে ও গুনে ভরপুর। চম্পা কলা খাওয়ার ফলে অধিক পুষ্টি পাওয়া যায়, হজমের স্বাস্থ্য উন্নত করে, শরীরের এলার্জি বৃদ্ধি করে, হার্ট সুস্থ ও মেজাজ শান্ত রাখতে সাহায্য করে, ত্বকের যত্নে, গভীর উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য কমায়। এছাড়াও চম্পা কলা দেহের পানের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরকে হাইড্রেড রাখে।

সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা

সাগর কলার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার পাশাপাশি যৌন দুর্বলতা দূর করতে এবং শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাগর কলা খাওয়াই শরীর ঠান্ডা রাখে। তবে ঠান্ডা, কাশি, হাঁপানি, এজমা আছে এমন ব্যক্তির সাগর কলা এড়িয়ে চলা উচিত।

অনুপম কলা খাওয়ার উপকারিতা

অনুপম কলার বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টির উপকারিতা পেতে গ্রহণ করতে পারেন। অনুপম কলা সাধারণত ভারতীয় উপমহাদেশ সহ অন্যান্য দেশেরও জনপ্রিয়। এর উৎপাদন স্থান ভারতের উপমহাদেশে। অনুপম কলা সাধারণত স্বাদে গুনে গুণান্বিত। পরিমাণমতো দৈনিক অনুপম কলা খাওয়ায় আরামদায়ক ঘুমের জন্য উপকারী। এছাড়াও এই কলা খেলে মানসিক চাপ কমাতে এবং কুয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি হজম করার শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

সবজি কলার উপকারিতা

সবজি কলা খাওয়ার ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। সবজি কলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা আছে যা, খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, আর ক্যান্সার প্রতিরোধে ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন সবজি কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

সবরি কলার উপকারিতা

সবরি কলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ভিটামিনের পুষ্টিগুণের জন্য গুণান্বিত ও পরিচিত। যা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, যৌন জনিত রোগ এর সমাধান করে, কিডনি পাথর অপসারণ করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক ইত্যাদি সবরি কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

আমাদের শেষ কথা

বিচি কলার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটিই আছে। তবে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। আমাদের ওযেবসাইটের এই পোষ্টের মুল আলোচ্য বিষয়: বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা। আশা করি, বিষয়টি জানতে পেরে আপনারা উপকৃত হবেন। আর্টিকেটি শেষ পযর্ন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url