ওভারিয়ান ক্যান্সার কি ভালো হয় - ওভারি ক্যান্সার কেন হয়
ওভারিয়ান ক্যান্সার নিয়ে অনেকের মনে সংশয়। এটা কি ভালো হয় আবার অনেকের এ ধরনের ক্যান্সার গুলো কেন হয়। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের জানাবো, ওভারিয়ান ক্যান্সার কি ভালো হয়: ওভারি ক্যান্সার কেন হয় এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আপনি আজকের পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন ওভারিয়ান ক্যান্সার কি ভালো হয়: ওভারি ক্যান্সার কেন হয়? এছাড়াও ওভারিয়ান ক্যান্সার এর লক্ষণ, সিস্ট থেকে ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার এর চিকিৎসা, ওভারি ক্যান্সার সার্জারি করার সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত যা আজকের এই পোস্টে সকল বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
প্রিয় বন্ধুরা, আমরা এই পোস্টে জানব ওভারিয়ান ক্যান্সার কি ভালো হয় - ওভারি ক্যান্সার কেন হয় সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য।
ওভারিয়ান ক্যান্সার কি ভালো হয়
ওভারিয়ান ক্যান্সার মূলত রোগের বয়স স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ওভারিয়ান ক্যান্সার এর ধরণ পরিবর্তন হয়। প্রথম পর্যায়ে যদি ওভারিয়ান ক্যান্সারধরা নির্ণয় করা যায় ওভারিয়ান ক্যান্সার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে প্রথম পর্যায়ে ওভারিয়ান ক্যান্সার নির্ণয় করতে না পারা যায় তাহলে ওভারিয়ান ক্যান্সার ভালো হওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পরে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যদি সঠিক চিকিৎসা হয়ে থাকে তাহলে ওভারিয়ান ক্যান্সার সহজে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যেসব সুস্থ মহিলারা ও তরুণীরা ওভারিয়ান ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তাদের সহজেই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ওভারিয়ান ক্যান্সার লক্ষণ
ওভারিয়ান ক্যান্সার মূলত নারীদের ডিম্বাশয় হয়। অধিকাংশ নারিদের প্রজনন তন্ত্রের ক্যান্সার বা ডিম্বাশয় ক্যান্সারের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে। ওভারিয়ান ক্যান্সার লক্ষণগুলো হলোঃ
- পেট ফোলা বা পেটে ব্যথা করা এটি একটি ওভারিয়ান ক্যান্সার এর সাধারণ লক্ষণ। এছাড়াও ব্যথা তীব্রতা বাড়তে পারে এবং ধীরে ধীরে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ওভারিয়ান ক্যান্সার রোগীর খাবারের চাহিদা কমে যাওয়া কমে যায় এবং পেটে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- রোগীর যখন তখন যৌনিতে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ওভারিয়ান ক্যান্সার এর কারণে।
- ওভারিয়ান ক্যান্সার রোগীরা প্রসবের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
- ওভারিয়ান ক্যান্সার এর রোগী অল্প কাজে ক্লান্তি অনুভব করে।
- ওভারিয়ান ক্যান্সার রোগীর টিউমারের কারণে পিঠে ব্যথা ছড়িয়ে যায়।
- ওভারিয়ান ক্যান্সার টিউমারের জন্য পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
ডিম্বাশয়ের টিউমারের লক্ষণ
ডিম্বাশয় টিউমারের কারণে মেয়েদের দুই মাস আগে ক্যান্সার হয়ে থাকে। ডিম্বাশয় টিউমার এর লক্ষণ সাধারণ হওয়ার কারণে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু সাধারণ লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে ডিম্বাশয়ের টিউমার শনাক্ত করা যায় যেমনঃ
- পেট ব্যথা করে
- পেট ফুলে যায়
- খাবারের চাহিদা কমে যায়
- ঘনঘন প্রসবের চাপ পাওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
- যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব
- হঠাৎ করে যোনির রক্তপাত হয়
সিস্ট থেকে ক্যান্সার
তরল পদার্থের ভরা থলি কে সিস্ট বলে। সিট সাধারণত শরীরের যে কোন অংশে হয়ে থাকে। এছাড়াও নারীদের সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ডিম্বাশয়ের কোন কোন সিস্ট ক্যান্সার হয় আবার সিস্ট ক্যান্সার হয়না। যদি স্যার হয়ে থাকে তাহলে ওই ক্যান্সারকে এপি থেলিয়াল ওভারি বা ওভারিয়ান ক্যান্সার বলে।
ওভারি ক্যান্সার কেন হয়
ওভারিয়ান ক্যান্সার হওয়ার সঠিক কারণ হচ্ছেঃ
- বয়স্ক মহিলাদের ওভারি বা ওভারিয়ান ক্যান্সার মা ওভারিয়ান ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- পরিবারের পূর্বপুরুষের যদি কোন ব্যক্তির ওভারি ক্যান্সার থেকে থাকে তাহলে অন্যান্যদের হওয়া সম্ভব থাকে।
- BRCA1 ও BRCA2 এর জিনগত কারণে ওভারি ক্যান্সার বা ওভারিয়ান ক্যান্সার হয়।
- অতিরিক্ত মানসিকচাপের কারণে ওভারিয়ান ক্যান্সার ক্যান্সার হতে পারে।
- যেসব নারীরা কখনো গর্ভধারণ করে নিয়ে তাদের ওভারি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ইত্যাদি
ওভারি ক্যান্সার সার্জারি
ওভারি ক্যান্সার সার্জারি করে ডিম্বাশয় এর ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে অপসারণ করা সম্ভব হয়।
- হিস্টেরেক্টমি গর্ভাশয়ের ওভারি ক্যান্সার অবসরণ করে।
- সালপিঙ্গো-ওফোরেক্টমির মাধ্যমে ডিম্বাশয়ের ওভারি বা ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলো অপসারণ করে।
- ডিবাল কিং সার্জারি মাধ্যমে ডিম্বাশয় গর্ভাশয় এর ক্যান্সারে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ গুলোকে অপসারণ করে।
ওভারিয়ান ক্যান্সার চিকিৎসা
সাধারণত ওভারি বা ওভারিয়ান ক্যান্সার এর চিকিৎসা করা হয় অস্ত্র পাচার, কেমোথেরাপি ও হরমোন থেরাপির মাধ্যমে।
কেমোথেরাপিঃ কেমোথেরাপি মূলত এক ধরনের ওষুধ যা ক্যান্সার আক্রান্ত পোস্টগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও অস্ত্র পাচারের আগে এবং পরে কেমোথেরাপি ব্যবহার করে।
অস্ত্রোপচারঃ অস্ত্রোপচার ওভারি ক্যান্সারের সাধারণ চিকিৎসা অস্ত্রোপচার করে ডিম্বাশয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সহজে অপসারণ করা যায়।
হরমোন থেরাপিঃ হরমোন থেরাপি করে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলোকে বৃদ্ধির জন্য ব্যাঘাত ঘটায়।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক আপনি এই পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছেন ওভারিয়ান ক্যান্সার কি ভালো হয় এবং ওভারি ক্যান্সার কেন হয় এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আরো জানতে পেরেছেন ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ ডিম্বাশয় টিউমারের লক্ষণ সিস্ট ক্যান্সার ওভারি ক্যান্সার ওভারি ক্যান্সার সার্জারি এবং ওভারি ক্যান্সারের চিকিৎসার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আমি আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url