লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ - লিভোফ্লক্সাসিন কেন খেতে হয়
আপনি কি লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ জানতে চান? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকি এর মধ্যে লিভোফ্লক্সাসিন অন্যতম। যারা এই ওষুধ খায় সাধারণত তারা অনেকেই লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ? জানেনা। ডাক্তার খেতে বলেছে তাই খেয়ে আসছে। আজকের এই আর্টিকেলে লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ? তা আলোচনা করা হবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ? জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ
- লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ জানুন
- লিভোফ্লক্সাসিন কেন খেতে হয়
- লিভোফ্লক্সাসিন খাওয়ার নিয়ম
- লিভোফ্লক্সাসিন ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- আমাদের শেষ কথা
লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ জানুন
আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় পড়ে থাকি। বর্তমান সময়ে মানুষের দেহ একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে হয়। পৃথিবীতে এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে যারা প্রতিদিন ওষুধ খায় না। সমস্যা ভেদে সাধারণত ওষুধ হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি ওষুধ হলো লিভোফ্লক্সাসিন। লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ? আমরা অনেকে এটি জানিনা।
আরো পড়ুনঃ আদা খেলে কি ক্ষতি হয় - সহবাসের আগে আদা খেলে কি হয়
ফ্লুরোকুইনোলোন্স গ্রুপের একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু সংক্রমণ করলে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রকমের জীবাণু সংক্রমণ যেমন নিউমোনিয়া, মূত্রনালী, পোস্টেট ও পাকস্থলী সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি অন্য অ্যান্টিবায়োটিক এর সাথে যেমন যক্ষা, পেলভিক ইনফিল্মেন্টরি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এই ওষুধ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে লড়াই করে টিউবারকুলোসিস, নিউমোনিয়া, সেলুলাইটিস, তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, মূত্রনালী সংক্রমণ সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১৯৯৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়। এই ওষুধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ওষুধের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এটি ইউরিন ইনফেকশন দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নিউমোনিয়া, প্লেগ রোগ, করনিয়াল আলসার, কনজাংটিভাইরাস , নেফ্রাইটিস ও চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
লিভোফ্লক্সাসিন কেন খেতে হয়?
লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ তা জেনেছি। সাধারণত এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই লিভোফ্লক্সাসিন কেন খেতে হয়? জানে না। যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই সেই ওষুধটি কেন খেতে হয় কোন সমস্যার জন্য খাচ্ছি এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া জরুরী তাই লিভোফ্লক্সাসিন কেন খেতে হয়? তাহলে করা হলো।
- শ্বাসযন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহে হঠাৎ প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে এ ওষুধ খেতে হয়।
- তীব্র ম্যাক্সিলারী সাইনাসের প্রদাহ কমাতে ওষুধ খেতে হয়।
- ত্বক এবং নরম কলার জটিল সংক্রমণ কমাতে।
- মূত্রনালীর জটিল সংক্রমণ কমাতে এ ওষুধ খেতে হয়।
- কমিউনিটি অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া প্রদাহ কমাতে।
- তীব্র পাইলোনেপ্রাইটিস এর জন্য খেতে হয়।
- মূত্রনালীর জটিল সমস্যার সমাধানে।
লিভোফ্লক্সাসিন খাওয়ার নিয়ম
যে কোন ওষুধ খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সাধারণত ডাক্তার ওষুধ খাওয়ার নিয়ম বলে দেয়। যদি আপনি কোন কারণে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম ভুলে জানতে হলে ইন্টারনেট থেকে দেখে নিতে পারেন। যেমন আমরা লিভোফ্লক্সাসিন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। কারন এটি বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান করে থাকে তাই লিভোফ্লক্সাসিন খাওয়ার নিয়ম এবং লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ তা জানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আরো পড়ুনঃ আসতাগফিরুল্লাহ ফজিলত - ইস্তেগফারের ৭০ ফজিলত
১। তীব্র সাইনুসাইটিস - দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম করে খেতে হবে। অবশ্যই ডাক্তার যে কয়দিন খেতে বলবে সে কয়দিন খেতে হবে। সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিন খেতে বলে থাকেন।
২। তীব্র ম্যাক্সইলারী প্রদাহ কমাতে - প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম করে দশ থেকে ১৪ দিন খেতে হবে।
৩। পুরাতন ব্রংকাইটিস হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে - দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম করে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন খেতে হবে।
৪। এন্টারিক ফিভার - এই সমস্যা হলে দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম করে ১০ থেকে ১৪ দিন খেতে হবে।
৫। ডায়রিয়া কলেরা হলে - যদি মাঝারি ধরনের থাকে তাহলে ৫০০ মিলিগ্রাম একদিন খেলেই হবে। যদি তীব্র হয় তাহলে ৫০০ মিলিগ্রাম তিন দিন খেতে হবে।
লিভোফ্লক্সাসিন ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বেশ কিছু সমস্যার কারণে লিভোফ্লক্সাসিন ঔষুধ খেতে হয়। উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যেই লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ? তা জেনেছি। যেহেতু এটি এন্টিবায়োটিক তাই লিভোফ্লক্সাসিন ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত খাওয়ার আগে।
লিভোফ্লক্সাসিন ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
- ব্যাকটেরিয়াল রোগ টক এবং ফুসফুস প্রদাহ কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
- ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করলে এখান থেকে মুক্তি পেতে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
- সাধারণত নরম টিস্যু সংক্রমণ করলে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
- ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
- আমাদের ত্বক সংক্রমণ কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
লিভোফ্লক্সাসিন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু সবসময়ের জন্য না। কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে মারাত্মক কিন্তু বিরল। অবশ্যই ওষুধ খাওয়ার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- বদহজম
- বমি বমি ভাব
- পেশী ব্যথা
- অস্বাভাবিক রক্ত গন্য
- স্বাদ ঝামেলা
- ফাংগাল সংক্রমণ
- পেটব্যথা হওয়া
- চামড়ায় ফুসকুড়ি
- রক্ত প্লেটলেট এর অস্বাভাবিক নিম্ন সংখ্যা
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- অতিসার
- উদ্বেগ
- গ্যাসের সমস্যা
- মাথা ঘোরা
- মাথা ব্যথা হওয়া
- বিশৃঙ্খলা
- অনিয়ন্ত্রিত কম্পনের
আমাদের শেষ কথাঃ লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে লিভোফ্লক্সাসিন ব্যবহার ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, লিভোফ্লক্সাসিন খাওয়ার নিয়ম, লিভোফ্লক্সাসিন কেন খেতে হয়? লিভোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।
আরো পড়ুনঃঘুম না আসার কারণ - রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পন্ন পরিষ্কার হয়ে যাবেন। উক্ত ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরী। ২০৭৯১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url