জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান

জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান সম্পর্কে জানা উচিত। আপনারা যারা জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান

আপনি যদি জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান

জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান

যখন কোন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন সাধারণত তাকে কবরস্থ করার সময় জানাজা পড়ানো হয়। জানাযার নামাজ আমরা অনেকেই পড়তে জানি আবার অনেকে জানিনা। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ আসতাগফিরুল্লাহ ফজিলত - ইস্তেগফারের ৭০ ফজিলত

জানাযার নামাযকে রূপক অর্থে নামায বলা হয়। কেননা এতে নামাযের কতক শর্ত তথা সতর ঢাকা, কিবলামূখী হওয়া প্রভৃতিকে জরুরী গণ্য করা হয়ে থাকে। নতুবা প্রকৃত অর্থের দিক দিয়ে তা নামাজ নয় বরং একটি বিশেষ তরীকায় মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ ও ইসতিগফার করা। হাফিয ইবনে কায়্যিম রহঃ নিজ ‘যাদুল মাআদ’ গ্রন্থে লিখেন,

আর জানাযার নামাযের উদ্দেশ্য হলো মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করা। আর এমনিভাবে রাসূল সাঃ থেকে জানাযার দু’আ এত অধিক পরিমাণে নকল করা হয়েছে যে, ফাতিহা এবং দরুদ শরীফ পড়া সন্বন্ধে তত অধিক নকল করা হয়নি।

জানাযার নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়ার সবচেয়ে সহীহ হাদীছ বলে যাকে ধারণা করা হয় তা ইমামা বুখারী রহঃ কর্তৃক হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে নকল করেছেন,

হযরত তালহা বিন আবদিল্লাহ বিন আওফ রাঃ বলেন যে, আমি হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ এর পশ্চাতে ইকতিদা করে জানাযার নামায পড়েছি। তখন তিন উচ্চস্বরে সূরায়ে ফাতিহা পড়েন এবং বলেন, আমি তা এজন্য উচ্চস্বরে পড়েছি যেন তোমরা জেনে নিতে পার যে ইহা সুন্নত।

আর নাসায়ী শরীফের ১ম খণ্ডের ২৮১ পৃষ্ঠায় সহীহ সনদসহ উক্ত রিওয়ায়তকে এই শব্দে নকল করা হয়েছে, তিনি সূরায়ে ফাতিহা ও একটি সূরা এমন উঁচুস্বরে পড়েছেন, যেন আমরা তা শুনতে পারি। অতঃপর যখন তিনি নামায থেকে ফারিগ হলেন, তখন আমি তার হাত ধরে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি জবাবে বললেন, ইহা সুন্নত এবং হক্ক।

জানাজার নামাজে সানা পড়ার দলিল

একজন মুসলিম মৃত্যুবরণ করলে অপর মুসলিমের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হল তার জানাজার নামাজ পড়ে তাকে কবর দেওয়া। জানাজার নামাজ পড়ার জন্য আমাদেরকে জানাজার নামাজে সানা পড়ার দলিল জানতে হবে। জানাজার নামাজে সানা পড়ার দলিল নিচে উল্লেখ করা হলো।

জনৈক ব্যক্তি আবু হুরায়রা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করল, আপনি কিভাবে জানাযার নামাজ পড়ে থাকেন? আবু হুরায়রা রাঃ বললেন, আমি তোমাকে অবশ্যই জানাচ্ছি যখন লাশকে রাখা হয়, তখন আমি তাকবীর বলি ও সানা পাঠ করি। এরপর রাসূল সাঃ এর প্রতি দরূদ পাঠ করি। {মুয়াত্তা মালিক, হাদিসঃ ১৭}

সহীহ হাদীসের আলোকে জানাজার নামাজ

কোন মুসলিম যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন আমরা প্রথমে তার গোসল করিয়ে তাকে পবিত্র করে জানাজার নামাজ পড়িয়ে তাকে কবরস্থ করি। সহীহ হাদীসের আলোকে জানাজার নামাজ সম্পর্কে ধারণা নেয়। যেহেতু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই সহীহ হাদীসের আলোকে জানাজার নামাজ সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জানা উচিত।

ইমাম সামনে দাড়াবে। ইমামের পিছনে কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে কাতারে দাড়াতে হবে। {বুখারী, মুসলিম, মিশকাতঃ ১৬৫২} রাসূল বলেছেন, তিন কাতারে লোক যারা জানাযা পড়ে তার জন্য ‘জান্নাত’ ওয়াজীব হয়ে যায়। {আবু দাউদঃ ৩১৬৬, তিরমিযীঃ ১০২৮}

কোন জানাযায় যদি ইমাম ব্যতীত অন্য একটি লোক ছাড়া আর কেউ না থাকে, তাহলে অন্যান্য সালাতের মত ইমাম-মুক্তাদী পাশাপাশি দাঁড়াবে না। বরং ইমামের পশ্চাতে একাকী দাঁড়িয়ে জানাযা পড়বে। কারণ আব্দুল্লাহ বিন আবী তালহা বলেন,"উমাইর বিন আবী তালহা ইন্তেকাল করলে, তালহা আল্লাহর রাসূল কে ডেকে পাঠালেন।

তিনি এসে তাদের বাড়িতে জানাযা পড়লেন। আল্লাহর রাসূল সামনে দাড়ালেন। আবূ তালহা দাড়ালেন তার পিছনে এবং উম্মে সুলাইম দাড়ালেন আবূ তালহার পিছনে। সে দিন ওরা ছাড়া তার সাথে আর কেউ ছিল না।"{হাকেম ১-৩৬৫, বায়হাক্বী ৪-৩০-৩১, মাজমাউয যাওয়াইদ ৩-৩৪}

প্রত্যেক সালাতী তার টাখনুর উপর কাপড় রাখবে পাঞ্জাবি, জামার হাতা খুলে দেবে। {বুখারী, মিশকাতঃ ৪৩১৫} জুতা সেন্ডেল খোলার প্রয়োজন নেই। নাপাকী লেগে থাকলে মাটিতে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। {আবু দাউদঃ ৩৮৫,৩৮৭, তিরমিযীঃ ৪০০}

অনেকে জুতা স্যান্ডেল থেকে পা বের করে রাখে, অথবা জুতার উপরে দাড়ায় এর প্রয়োজন নেই। মাইয়েতকে উত্তর দিকে মাথা করে, ক্বিবলার দিকে সামনে রাখতে হবে বাংলাদেশে পশ্চিমে। মৃত-ব্যক্তি যদি পুরুষ হয়,তবে মাথা বরাবর দাড়াতে হবে,মহিলা হলে কোমর বরাবর দাড়াতে হবে (ইমামকে)। {তিরমিযী, আবু দাউদ, মিশকাতঃ ১৬৭৯}

লাশ একাধিক হলে পুরুষ-মহিলা একত্রে ইমামের কাছাকাছি পুরুষের পরে মহিলার লাশ রাখতে হবে। শিশু মহিলা হলে প্রথমে শিশু তারপর মহিলার লাশ রাখতে হবে। ইমামের পিছনে ১ম কাতারে কাছাকাছি মাইয়েতের উত্তরাধিকারীগণ ও দ্বীনদার গণ্য মান্য ব্যক্তিগণ দাড়াবে, এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।{মুসলিম, মিশকাত, শারহুল মুনতাহ ৩/৫৫-৫৯ পৃষ্ঠা}

জাবির (রাঃ) হতে বর্নিত, রাসূল বলেন, তোমরা তোমাদের মৃতদের উপর জানাযার সালাত আদায় কর। রাত ও দিনে,সে ছোট,বড়, নীচ, ধনী ও গরিব যেই হোক চার তাকবীর সহকারে।

সংগ্রহীতঃ ফেসবুক

জানাজার নামাজের নিয়ম হানাফি

যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান সম্পর্কে আলোচনা করছি সেহেতু জানাজার নামাজের নিয়ম হানাফি দের সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত। আমরা অনেকেই হানাফী মাযহাবের মানুষ রয়েছি সাধারণত তাদের জন্য জানাজার নামাজের নিয়ম হানাফি উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ ঘুম না আসার কারণ - রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম

১ম তাকবীর অতঃপর সূরা ফাতিহা পাঠ (ওয়াজিব) সঙ্গে একটি ছোট সূরা পাঠ করা সুন্নাত। {বুখারী, আবুদাউদ, নাসাঈঃ ১৯৮৭,৮৯}

২য় তাকবীর অতঃপর দরূদে ইবরাহীম অতঃপর

৩য় তাকবীর জানাযা বিষয়ে হাদীসে উল্লেখিত দু’আ পাঠ। অতঃ পর সামান্য বিরতি/দোয়া অতঃপর ৪র্থ তাকবীর ডান দিকে/উভয় দিকে সালাম ফিরানো।

চতূর্থ তাকবীর দিয়ে চুপ না থেকে কোন কোন বিদ্বান বলেছেন, যেহেতু জানাযার সালাত দোয়ায় উদ্দেশ্য সেজন্য দোয়া পাঠ করতে হবে।

আলবানী রহঃ এ বিষয়ে যে দলীল পেশ করেছেন, শেষ তাকবীর ও সালামের মধ্যে দুআ করা সুন্নাত। আব্দুল্লাহ বিন আবু আওফা রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তার কাছে উপস্থিত ছিলাম, আর তিনি জানাযায় চার তাকবীর দিলেন।

অতঃপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন অর্থাৎ দু‘আ করলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা কি আমাকে পাঁচ তাকবীর দিতে দেখছে? তারা বললেন,না। তিনি বললেন, নিশ্চয় রাসূল চার তাকবীর দিতেন। {আহকামুল জানায়িজ বঙ্গ-১১৫পৃঃ}

তথ্য সংগ্রহঃ ফেসবুক

জানাজার নামাজ আল কাউসার

আমরা এখন জানাজার নামাজ আল কাউসার সম্পর্কে আলোচনা করব। জানাযা নামায কেবলমাত্র একবার পড়াই বিধান। এক মৃতের একাধিক জানাযা নামায সুন্নাহসম্মত নয়। সুতরাং মৃতের অলী জানাযা পড়ে নিলে বা তার সম্মতিতে জানাযা পড়া হয়ে গেলে দ্বিতীয় বার জানাযা পড়া বিদআত ও মাকরূহ।

নাফে রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. কোনো জানাযায় পৌঁছতে পৌঁছতে জানাযা নামায শেষ হয়ে গেলে মৃতের জন্য দুআ করে ফিরে আসতেন। দ্বিতীয় বার জানাযা পড়তেন না। {মুছান্নাফে আবদুর রাযযাকঃ ৬৫৪৫}

বিখ্যাত তাবেঈ ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. এক মাইয়েতের একাধিক জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১২০৭০) হাসান বসরী রাহঃ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি মৃতের জানাযা নামায না পেলে মৃতের জন্য ইসতেগফার করতেন। অতপর বসতেন অথবা ফিরে যেতেন। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ১২০৭১}

সালেহ ইবনে নাবহান রাহ. বলেন, সাহাবাগণ রা. জানাযা নামাযের জায়গা সংকীর্ণ হলে (মসজিদে) নামায না পড়ে ফিরে যেতেন {মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ১২০৯৭}

মৃতের জানাযা নামায হয়ে যাওয়ার পর হাদীসের নির্দেশনা মোতাবেক লাশ দ্রুত দাফন করে দেওয়া শরীয়তের নির্দেশ। দ্বিতীয় বা তৃতীয় জানাযার জন্য লাশ রেখে দেওয়া নিয়ম পরিপন্থী। সুতরাং বর্তমানে যে একবার জানাযা নামায হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে জানাযা পড়ার জন্য লাশ রেখে দেয়া হয় বা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় এটা শরীয়তসম্মত নয়। এটা সুস্পষ্টভাবে সুন্নাহ ও সালাফের আমল পরিপন্থী। তাই এ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। {আলমাবসূত, সারাখসী ২/৬৭, শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/২১৮,}

মৃত ব্যক্তির একাধিক সন্তান থাকলে তাদের মধ্য হতে প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ছেলে যদি মৃতের জানাযা পড়ে নেয় কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ছেলের সম্মতিতে জানাযা নামায পড়া হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে অন্য ছেলেদের জন্য পুনরায় তার জানাযা পড়ার সুযোগ থাকবে না। {আলজাওহারাতুন নাইয়িরা ১/১৩৭, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৪}

জানাযা নামায সহীহ হওয়ার জন্য লাশ সামনে উপস্থিত থাকা আবশ্যক। অনুপস্থিত লাশের গায়েবানা জানাযা নামায আদায়ের বিধান নেই। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জীবদ্দশায় অসংখ্য সাহাবী মদীনার বাইরে দূর-দূরান্তে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ার কোনো ঘটনা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত নেই।

রাসূলুল্লাহ সাঃ সাহাবায়ে কেরামের জানাযা নামায পড়ার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিলেন। এজন্য তিনি বলে দিয়েছিলেন যে, তোমাদের কেউ মারা গেলে আমাকে জানাবে। কেননা আমার জানাযা নামায মৃতের জন্য রহমত। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩০৮৩} আশা করি জানাজার নামাজ আল কাউসার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছে।

সংগ্রহঃ alkawsar.com

সালাতুল জানাজা আদায়ের বিধান কী

জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান সম্পর্কে প্রতিটি মুসলমানের জানা অত্যন্ত জরুরি। সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার জন্য আমাদেরকে জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান সম্পর্কে জানতে হবে। জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • প্রথমত মৃত ব্যক্তিকে ক্বিবলার দিকে সম্মুখে রেখে ইমাম ও মুসল্লিদের দাঁড়ানো।
  • মুসল্লীরা নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে ইমামের পিছনে ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।
  • মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে ইমাম তার মাথার পাশে দাঁড়ানো। আর মহিলা হলে কফিনের মাঝ বরাবর দাঁড়ানো। মৃত ব্যক্তির মাঝ বরাবর দাঁড়ানোতে কোনো দোষ নেই।
  • জানাযার নিয়ত করে চার তাকবিরের সহিত নামাজ আদায় করা।
  • কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত দুহাত উত্তোলন করে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাঁধা।
  • অন্যান্য নামাজের ন্যায় ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।
  • ছানা পড়া কেউ কেউ সুরা ফাতিহা পড়ে অন্যান্য সুরা মিলানোর কথা উল্লেখ করেছেন।
  • দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরূদে ইবরাহিম পড়া।
  • তৃতীয় তাকবির দিয়ে ইখলাসের সঙ্গে হাদিসে বর্ণিত দোয়াসমূহের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা।
  • চতুর্থ তাকবির দিয়ে যথাক্রমে ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে জানাযার নামাজ শেষ করা।

জানাজা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

জানাজা একজন মুসলিমের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি শব্দ। আমাদের জীবন বেঁচে থাকাকালীন আমরা কত মৃত মানুষের জানাজা পড়েছি। মৃত মানুষের জানাজা পড়া একজন মুসলিমের দায়িত্ব। অনেকে জানাজা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত সম্পর্কে জানতে চায়। ইসলামী শরিয়তে জানাজা, কাফন দাফন ইত্যাদি জীবিত মুসলমানদের ওপর মৃতদের অধিকার এবং অবশ্য পালনীয় ফরজ নির্দেশ।

আরো পড়ুনঃ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজার নামাজ আদায় করা ফরজে কিফায়া। অর্থাত্ কিছুসংখ্যক মুসলমান এ দায়িত্ব পালন করলে অন্যরা দায়িত্বমুক্ত হবে, যদিও এলাকার সব লোক ও আত্মীয়স্বজনের দায়িত্ব হচ্ছে মৃতের জানাজা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা এবং তার স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়া।

মহানবী সাঃ ইরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করে, সে এক 'কিরাত' পরিমাণ নেকি লাভ করে আর যে ব্যক্তি কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করে এবং তার দাফনের কাজে অংশগ্রহণ করে, সে দুই 'কিরাত' পরিমাণ সওয়াব লাভ করে।" কোনো এক সাহাবি প্রশ্ন করল, "হে আল্লাহর রাসুল! দুই কিরাত কী?" নবী করিম সাঃ বললেন, "দুই কিরাতের ক্ষুদ্রতম কিরাত ওহুদ পাহাড়ের সমান।" {ইবনে কাছির}

জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধানঃ শেষ কথা

জানাজা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত, জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান, সালাতুল জানাজা আদায়ের বিধান কী? জানাজার নামাজ আল কাউসার, জানাজার নামাজের নিয়ম হানাফি, সহীহ হাদীসের আলোকে জানাজার নামাজ, জানাজার নামাজে সানা পড়ার দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। ১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url