কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। চলুন তাহলে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

আপনারা যদি সম্পূর্ণ আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়

ভূমিকা

ভ্রুন একটি বহুকোষী জীবের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে। সাধারণভাবে যে জীবন গুলির যৌনভাবে প্রজনন করে তাদের ক্ষেত্রে ভ্রুণ গঠিত হতে দেখা যায়। ভ্রুণের বিকাশ জীবন চক্রের একটি অংশ যা নিষিক্ত করণের ঠিক পরে শুরু হয় এবং টিস্যু ও অঙ্গের মতো শরীরের কাঠামো গঠনের মাধ্যমে ব্যাহত থাকে। প্রতিটি ভ্রুণ গ্যামেটের সংমিশ্রণের ফলে একটি একক কোষ (অর্থাৎ একটি পুরুষ শুক্রাণু কোষ দ্বারা একটি মহিলা ডিম্বাণু কোষ নিষিক্তকরণ) অর্থাৎ জাইগোট হিসেবে বিকাশ শুরু করে। ভ্রুণ বিকাশের প্রথম পর্যায়ে একটি একক জাই ভোট অনেক দ্রুত কোষ বিভাজনের মধ্য দিয়ে যায়, যাকে ক্লিভেজ বলা হয়। যা ব্ল্যাস্টুলা গঠন করে, যা দেখতে একটি কোষের তৈরি বলের মতন।

এরপর ব্ল্যাস্টুলা পর্যায়ের ভ্রূণের কোষগুলি গ্ল্যাক্স-টুলেশন নামে একটি প্রক্রিয়ায় নিজেদের বিভিন্ন স্তরে পূর্ণনিবাস করতে শুরু করে। এই স্তর গুলি পরবর্তীতে একটি বিকাশ মান বহুকোষী জীবের বিভিন্ন অংশের জন্ম দেয় যেমন- স্নায়ুতন্ত্র, সংযোজক টিস্যু, এবং বিভিন্ন অঙ্গসমূহ। একজন নতুন বিকাশ মান মানুষকে সাধারণত গর্ভধারণের নবম সপ্তাহ পর্যন্ত ভ্রুনো হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে একে ফিটাস হিসাবে উল্লেখ করা হয়। অন্যান্য বহুকোষী জীবগুলোতে ভ্রুনো শব্দটির জন্ম বা ডিম ফোটার আগে যে কোন ধরনের প্রাথমিক বিকাশ বা জীবন চক্র পর্যায়ে আরো বিস্তারিতভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক।

কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার। কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রুনের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সেটি হলো ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। এর জন্য গর্ভবতী মাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার এর খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত সূর্যের আলো কিছু সময় করে থাকতে হবে। খাদ্য তালিকায় দুধ ও দইও রাখতে হবে। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভ অবস্থায় শুরু হয়। সেজন্য এই সময় দরকার মায়ের বাড়তি যত্ন। খাদ্য তালিকায় কিছু বিশেষ খাবার থাকলে গর্ভ অবস্থায় শিশুটির মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয়। কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় এ সম্পর্কে জানার সাথে সাথে আমাদের জানতে হবে গর্ভাবস্থা মায়ের খাবারের তালিকা সম্পর্কে চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক।
গর্ভাবস্থামায়ের খাবারের তালিকা-
  1. ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার- পনির, গরুর মাংস, কলিজা এই জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। এর জন্য গর্ভবতী মাকে ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়ম সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ থাকতে হবে।
  2. প্রোটিনযুক্ত খাবার- গর্ভঅবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- ডিম, মাংস, মাছ, বিনস, পাঁচমিশালী ডাল, সিড নিয়মিত খেলে, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়।
  3. আইরন ও ফলিক এসিড- কলা, শুকনো ফল, পুদিনা পাতা, সবুজ শাকসবজিতে আয়রন ও ফলিক এসিড আছে, যা গর্ভ অবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ও বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া গর্ভধারণের আগে থেকে ফলিক এসিড সেবন অনাগত সন্তানের জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  4. ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার- সাধারণত গর্ভধারণের চতুর্থ মাস থেকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যসিডযুক্ত যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় বেশি রাখতে হবে। কুমরার বিচি বা সূর্যমুখীর বিচি, সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামলোন, টুনা, ম্যাকেরেল, ও কড লিভার অয়েল এর প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে। সামুদ্রিক মাছের ডিএইচএ এবং ইপিএ থাকে, যা পরবর্তী সময় শিশুর বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
  5. কলিন যুক্ত খাবার- ডিমের কুসুমে প্রচুর কোলিন থাকে। গর্ভাস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কলিনের বিকল্প নেই।
  6. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার- সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, টমেটো, বিনোস দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এগুলোই লুটেইন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বাদাম বা কালোজামু খেতে পারেন গর্ভাবস্থায়। এগুলোই বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
  7. কপার ও জিংক- হেদতালিকায় কপারসমৃদ্ধ খাবার যেমন কাজুবাদাম, এভোকাডো, মটরশুঁটি, বিনস, বিট ও জিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন শস্যজাতীয় খাবার, ছোলা, গরুর মাংস পরিমান মত রাখতে হবে। এতে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের কোষ সঠিকভাবে বাড়বে।
  8. আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার- সন্তানের বুদ্ধিমত্তার বিকাশে আয়োডিন খুবই জরুরী। এর জন্য খাবারের তালিকায় প্রতিদিন আয়োডিনযুক্ত লবণ রাখতে হবে। সামুদ্রিক মাছ, ডিম, কলিজা, গলদা চিংড়ি, ভুট্টা খেতে পারেন।

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য দরকার

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়, এবার জানবো শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য দরকার সম্পর্কে। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ বা ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট সাধারণত মায়ের গর্ভাবস্থায় হয়ে যায়। মানুষের বিকাশ একটা চলমান প্রক্রিয়া, শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন পর্যায়ে মস্তিষ্ক বিকশিত হয়। প্রথম কয়েক বছরের শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ খুব দ্রুত হয়ে যায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশ ধীরে ধীরে হতে থাকে। শিশুদের মস্তিষ্কে সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করে সুষম খাদ্যের ওপর। শিশুকে অন্তত ৬ মাস বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত কারণ মায়ের দুধ পান করলে শিশুর বুদ্ধিমত্তা বাড়ে। ছোট থেকে শিশুদের ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখা দরকার যে শিশুর বুদ্ধি বিকাশ ঘটাতে পারে। ডায়েটে থাকলে স্কুল থেকে শিশুর পড়াশোনা, কাজকর্ম, নতুন কিছু শেখার আগ্রহ দেখার মত হয়। ডায়েটিশিয়ান পরামর্শ অনুযায়ী শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে অন্তত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পটাশিয়ামে ভরপুর কলা খাওয়াতে পারেন। সব শিশুরাই কলা খেতে কমবেশি পছন্দ করে।

পটাশিয়াম ছাড়াও এতে রয়েছে আইরন, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। ব্রেনের জন্য আয়রন খুবই দরকারি। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে লাল শাক, পালং শাক, ডাটা শাক, সরিষা শাক, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা ও থাকুনি পাতায়। মাংস থাকে প্রচুর জিংক, আইরন ও প্রোটিন যা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে। মাছ আর মাছের তেলে আছে প্রোটিন আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শিশুকে মানসিকভাবে চটপটে হতে সাহায্য করে। মাছ বা মাংসের সুপ করে খাওয়াতে পারেন চাইলে।নয়তো পাঁচমিশালী খিচুড়ির সঙ্গে মাংস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। সঙ্গে দিন আলু আর গাজর সুস্বাদু হবে শিশুর জন্য। মস্তিষ্কে টিসুর সুস্থ বিকাশের জন্য দই খাওয়াতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে বা মিষ্টি দই খাওয়ান। স্ট্রবেরি হোক বা ব্লু বেরি, যার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই আমাদের সকলকে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে জানা খুব জরুরী।

কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়

আমাদের পরিবেশ ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের কারণে অভিভাবকরা প্রায় তাদের বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিভাবে বাচ্চার ব্রেইন হবে। প্রথমত চিন্তা করতে হবে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্য তালিকা কেমন ছিল কার্বন গর্ভের সময় ভ্রুনের মস্তিষ্কের ২৫ ভাগ দেবলোক হয়ে যায়। তাই আমাদের সর্বপ্রথমে জানতে হবে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়। খাবারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ, ডিম, ও দুধ থাকতে হবে। যেকোনো বয়সের আইকিউ লেভেল বাড়ানোর জন্য সবথেকে ভালো উপকারী হচ্ছে বাদাম। জন্মের পর শিশু যখন মায়ের দুধ খায় তখন প্রসুতির খাদ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ এই সময় মস্তিষ্কের বাকি ৭৫ ভাগ অংশ ডেভলেপ হয়ে যায়। সপ্তাহে দুদিন আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ খাবেন যা বাচ্চার আইকিউ তীক্ষ্ণ করবে। জন্মের ৬ মাস পর বাচ্চাকে দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সুজি, সেমাই, সাবুতে বাদাম গুড়া মিশিয়ে খাওয়ালে বাচ্চার মেধা বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ ও ধরন বাড়ালে বাচ্চার পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়।
খিচুড়ি সঙ্গে প্রথমে ডিমের কুসুম যাতে প্রোটিন ও পোলিন থাকে যার নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ডিমে বি কমপ্লেক্স থাকে। ডিমের কুসুম এক টুকরো পানি সঙ্গে মিশে খাওয়াতে পারেন। কুসুম খেলে বাচ্চার এক থেকে দেড় ঘন্টা খিদে পাবে না। ৭-৮ মাস ডিমের সাদা অংশ খাওয়াবেন যাতে অ্যালোবুমিন থাকে, এর বিকল্প পৃথিবীতে আর তৈরি হয়নি। ছোটবেলা থেকে ড্রাই ফুড যেমন চেরি, খেজুর কিসমিস, পাম ফ্রুট খেলে ক্যালোরির চাহিদা পূরণ হয়। মুরগি থেকে মাছের দিকে বেশি জোর দেবেন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মাসে থাকে। মাছ ভেজে বা ভুনা করে হালকা বেক করে বাচ্চাকে খাওয়াবেন, ভালো তেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা ছয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এক চা চামচ ঘি সপ্তাহে একবার দুইবার ব্যবহার করবেন। ব্রেনের কর্ম ক্ষমতা জেনেটিক বিষয়ের ওপরেও নির্ভর করে এবং বাচ্চা তার বয়স অনুযায়ী প্রাপ্ত ঘুমাবে। বাচ্চার ব্রেন ভালো করার জন্য সর্বপ্রথমে জানা দরকার কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে কারণ মায়ের গর্ভে বাচ্চার প্রথম ব্রেন বিকাশ শুরু হয়।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়

জন্মের সময় সব শিশুর মাথায় চুল থাকে না আবার কোন কোন শিশু অনেক চুল থাকে কিন্তু কেন এমন হয় এর উত্তরে অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান জিনগত কারণ এবং ডি এন এর প্রভাবে এমন হতে পারে। সাধারণত গর্ব অবস্থায় ৩০ তম সপ্তাহের কাছাকাছি গর্ভের সন্তানের চুল তৈরি হয়। যদি সেই সময় শিশুর মাথার চুল গজাতে শুরু করে তাহলে সে শিশুর চুল নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও চুল কম হোক বা বেশি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্তঃসত্তা অবস্থায় মায়ের শরীরের ক্যালসিয়াম বা কোন হরমোনের পরিমাণ কম থাকলেও কম চুল নিয়ে অথবা একেবারে ন্যাড়া মাথাতেও জন্মাতে পারে।

শিশুর এক বছর হওয়া পর্যন্ত এমনিও চুলের পরিমাণ কম থাকে। মায়ের শরীরে প্রজাপ্ত আয়রনের অভাব ঘটলে চুল গজাতে বেশ দেরি হয়। শিশুদের ছমাস পর্যন্ত চুল ঝরেও অনেক বেশি পরিমাণে। অর্থাৎ জন্মের সময় চুল থাকলে কি না থাকলেও তার ওপর নির্ভর করে না পরে সেই শিশুর চুল হবে কিনা এই নিয়ে। সাধারণত গর্ব অবস্থায় মায়ের যদি ভিটামিনের অভাব হয় তাহলে বাচ্চার চুল হালকা হয়। গর্ভাবস্থায় মা যদি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খায় তাহলে বাচ্চার চুল ঘন হবে। 

কি খেলে বাচ্চা কালো হয়

বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের ওপর সন্তানের শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা নির্ভর করে না এটা নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে জিন পেয়েছে তার উপরে। শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্য কোন মানুষের একান্ত আকাঙ্ক্ষিত বিষয় হতে পারে না। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত একটি সুস্থ মেধাবী ও স্বাভাবিক শিশুর জন্মের জন্য চেষ্টা করা। গর্ভবতী মহিলাদের খুব বেশি ক্ষুধা পায় এবং সেই সময় ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করাটা আসলে তাদের জন্য খুব জরুরী। কেননা এই খাবার মায়ের সাথে সাথে শিশুর জন্য অনেক দরকারি। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন খুব বেশি ওজন হলে ফ্রি ম্যাচিওর বেবির জন্ম হয় যা ব্যাচের আইকিউ এর ওপর প্রভাব ফেলে। নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করে নেটে বাচ্চার ব্রেইন এর গঠন ও অন্যান্য অঙ্গের গঠনে সহায়তা করে।

বিজ্ঞানীদের মতে গর্ভের শিশু শুনতে পায় এবং সেই অনুযায়ী সারা দেয়। গর্বের শিশুর সাথে কথা বলুন গান করুন এবং ধর্মীয় বই ও বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী পড়ুন। কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে যে গর্ভে থাকে শিশুর যে কণ্ঠস্বর শুনেছে জন্মের পর সেই কণ্ঠস্বর শুনলে শিশু শান্ত হয়। কিছু খেলে যে বাচ্চা কালো হয় বা ফর্সা হয় এই ভুল ধারণা আমাদের ভেতরে এখনও রয়ে গিয়েছে। এই ভুল ধারণা গুলো উপেক্ষা করে আমাদের উচিত একটি সুস্থ ও সবল বাচ্চা যেন পৃথিবীতে আসুক সে দোয়া করা এবং বাচ্চা ও মা দুইজনে যেন সুস্থ থাকে এবং কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এ সম্পর্কে জানার চাইতে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে জানা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। 

কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়

আমাদের বেশিরভাগ মানুষই চান তার অনাগত সন্তানের গায়ের রং যেন উজ্জ্বল হয় এজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিজের জীবন আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের ওপর সন্তানের শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা নির্ভর করে না এটা নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে জিন পেয়েছে তার ওপরে। তারপরেও অনেকে মনে করেন যে খাবারের ওপরে শিশুর গায়ের রং নির্ভর করে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি খেলে বাচ্চা দেয় এবং ফর্সা হয়।
যে খাবারগুলো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হতে পারে তার তালিকা হলো-
  1. জাফরান দুধ- অনেক মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় জাফরান দেয়া দুধ পান করে থাকেন মনে করা হয় জাফরান গর্ভে শিশুর গায়ের রং ফর্সা করে।
  2. নারিকেল- প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী নারিকেলের সাদা শ্বাস গর্ভের শিশুর বর্ণ ফর্সা করে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খেতে পারেন তবে পরিমিত অনুযায়ী।
  3. দুধ- গর্ভবতী মহিলাদের দুধ পান করা আবশ্যক। দুধ শিশুর শরীর গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রচলিত ধারণা মতে দ্রুত ত্বকের রং ফর্সা করতে সহায়ক।
  4. ডিম- প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে যদি ফর্সা বাচ্চা চান তাহলে গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় তিন মাসের ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করা উচিত। তবে সত্য এই যে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডিম খাওয়া মায়ের জন্য খুব জরুরী ডিমের অধিকাংশ পুষ্টিগুণ এর কুসুমের মাঝে থাকে।
  5. চেরি ও বেরি জাতীয় ফল- টেরি ও বেরি জাতীয় ফলে উচ্চ মাত্রায় আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যাতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের ক্ষতি রোধ করে।
  6. টমেটো- টমেটোতে লাইকোপেন থাকে যা ক্ষতিকর অ্যালটা ভায়োলেট এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সূর্যের আলো ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের রক্ষা করে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হয়।
  7. কমলা- কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাই গঠনের জন্য অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় কমলা খেলে শিশুর ত্বক ভালো হবে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url